বর্ষাকালে ওয়াসা ও তিতাস চুরি করে রাস্তা খনন করছে: মেয়র তাপস
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৭ PM , আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৩ PM

ওয়াসা ও তিতাসের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের অনুমতি না পেয়ে বর্ষাকালে ওয়াসা ও তিতাস চুরি করে রাস্তা খনন করছে।
আজ শনিবার (০৬ জুলাই) বিআইপি সম্মেলন কক্ষে ‘ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে খাল পুনরুদ্ধারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা)।
২০২০ সালে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশন খালগুলো বুঝে নেওয়ার চার বছর পার হলেও রাজধানীর জলাবদ্ধতার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। বর্ষায় স্বল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থান। বর্ষাকালে রাস্তা খননের জন্য কোনো সংস্থাকে অনুমতি দেবে না জানিয়ে আগেই নোটিশ করে ডিএসসিসি।
এরপর অনুমতি না পেয়ে চুরি করে ওয়াসা ও তিতাস রাস্তা খনন করে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘৩দিন আগে ঢাকা ওয়াসা কোনো অনুমতি না নিয়ে যাত্রাবাড়ীর আরসিসি সড়ক খনন করেছে। অথচ ২০২৩ সালে ৫০ কোটি টাকা খরচ করে সড়কের কাজ শেষ করেছি। এটা যে কত কষ্ট লাগে তা কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না। খনন করলে ওই সড়কের আর কার্যকারিতা থাকে না। সড়কের আয়ুষ্কাল ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমরা যে টেকসই সমাধানে যাবো, কীভাবে যাবো।’
মেয়র তাপস বলেন, ‘শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে ২০২০ সালে কোমর পর্যন্ত পানি থাকত। ১৫৬ কোটি টাকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রশস্ত রাস্তা করে দিয়েছি। আজকে শুনলাম, সেখানে একটি কারখানা গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য বিনা অনুমতিতে তিতাস কর্তৃপক্ষ সড়কের কয়েকটি অংশ খনন করেছে। যখন তারা উপলব্ধি করে বর্ষা মৌসুমে সড়ক খননের অনুমতি পাবে না, তখন তারা চুরি করে এভাবে সড়কগুলো নষ্ট করে।’
জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলোকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে পুনরুদ্ধার করার বিকল্প নেই জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি ভূমি দস্যুদের আগ্রাসন যতদিন বন্ধ হবে না, ততদিন জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। হোক সরকারি কিংবা বেসরকারি; ভূমি দস্যুদের আগ্রাসন দূর করতে পারলে ঢাকা শহর জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে; খাল দখলমুক্ত থাকবে।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালের পর থেকে ঢাকা সিটিতে আমরা ১৬১টি জলাবদ্ধ স্থান শনাক্ত করেছি। যেসব জায়গায় বৃষ্টির পর আধা ঘণ্টার বেশি পানি জমে থাকে। তবে ১৩৬ স্থানে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি জায়গা গুলোর কাজ চলমান রয়েছে। তবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে আরও কয়েকটি জায়গায় নতুন করে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।