স্বাক্ষর জাল করে রাস্তা খনন, ওয়াসার মালামাল জব্দ করল ডিএসসিসি
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৩ AM , আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৩ AM
-10955.jpg)
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাগ শহীদ আবদুল আলীম খেলার মাঠসংলগ্ন রাস্তা খনন করায় ঢাকা ওয়াসার মালামাল জব্দ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। গতকাল সোমবার জব্দ করা মালামালের মধ্যে দুটি জেনারেটর, একটি ড্রিল মেশিন, দুটি অ্যালুমিনিয়াম বোল, দুটি শাবল, একটি কোদাল, একটি এলইডি লাইট এবং পাঁচটি হেলমেট রয়েছে।
জানা গেছে, ডিএসসিসি কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে রাস্তা খননের বিষয়টি নজরে এলে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খননকাজ চলা এলাকায় যান। সেখানে খননকাজে নিয়োজিত লোকজনের কাছে অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তারা দেখান। পরে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি অনুমতিপত্র দেখতে চান। তখনই বিষয়টি জানা যায়।
জানা গেছে, লালবাগ খেলার মাঠসংলগ্ন পানির মেইন লাইনে ইলেকট্রনিক প্রেশার রিডিউসিং ভালভ (ই-পিআরডি) স্থাপন কাজের জন্য রাস্তা খননের অনুমতি চায় ঢাকা ওয়াসা। করপোরেশনের ওয়ান স্টপ সেল থেকে এ কাজের অনুমতি দেওয়া হয়। গত ২১ এপ্রিল করপোরেশনের অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত একটি অনুমতিপত্র সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের (রক্ষণাবেক্ষণ) নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মোস্তাকিম হোসেনে কাছে পাঠানো হয়। এতে ২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল ওই রাস্তা খনন করতে হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে রাস্তা খনন না করে ২৯ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে ঢাকা ওয়াসা।
এ বিষয়ে অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীল বলেন, ঢাকা ওয়াসা অনুমতি না নিয়ে লালবাগের শহীদ আবদুল আলীম খেলার মাঠ সংলগ্ন সড়ক খনন করছিল। এ বিষয়ে অবগত হলে আমাদের কর্মকর্তারা সেখানে যান।
মিঠুন চন্দ্র শীল বলেন, এ সময় সেখানে থাকা ঢাকা ওয়াসার লোকজন আমাদের কর্মকর্তাদেরকে আমার স্বাক্ষরিত সড়ক খননের একটি অনুমতিপত্র দেখায়। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে তারা অনুমতিপত্রটি আমাকে পাঠায়। সেটি দেখেই আমি নিশ্চিত হই যে, আমার স্বাক্ষর জাল ও তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের লোকজন সেখান থেকে সরে যায়। এরপর খনন কাজে ব্যবহৃত সেসব মালামাল আমরা জব্দ করি।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমার স্বাক্ষর জাল ও তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে, সেহেতু এ বিষয়ে আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রয়োজনে মামলা করা হবে।