হত্যা না করে আমাদের হাতে তুলে দিন: বিএসএফকে বিজিবি মহাপরিচালক
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৯:০০ AM , আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৯:০০ AM

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বর্ডার শেয়ার করা দেশের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ অন্যতম। প্রতিবেশি দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক গভীর ও খুবই বন্ধুত্বপুর্ণ। তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও প্রায়ই দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের (বিএসএফ) হাতে গুলি করে বাংলাদেশিদের হত্যার খবর পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সীমান্তে যেসব হত্যা হয় সেগুলো ভারতের দিকে হয়। বিভিন্নভাবে ও বিভিন্ন কারণে যারা অবৈধ অনুপ্রবেশ করে তারাই দুঃখজনকভাবে বিএসএফের হাতে মারা পড়ে। এমনকি কিছু কিছু ভারতীয় চোরাকারবারিও বিএসএফের হাতে মারা পড়ে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে বিজিবির তিস্তা ব্যাটালিয়নের (৬১ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান নিজ শেখ সুন্দর দাখিল মাদরাসা মাঠে ত্রাণ বিতরণে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিস্তা পাড়ের ২৫০ জন বন্যাদুর্গত পরিবারের মাঝে শুকনো খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অনেক সময় সীমান্ত চোরাকারবারিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ওপর আক্রমণ করে বলে তারা (বিএসএফ) দাবি করে। তারা বলে, আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি করে। আমরা তাদেরকে বলেছি, গুলি না করে গ্রেফতার করে আমাদের হাতে তুলে দিন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফুজ্জামান বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে বিজিবি সবসময় সচেতনামুলক সভা ও সেমিনার করছে। কখনো মসজিদ-মন্দিরসহ সীমান্তে অনুষ্ঠান করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়াও চোরাকারবারিসহ অনেক মানুষকে দোকানপাট, ভ্যানগাড়ি কিনে দেয়ার মতো নানাভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। যাতে তারা পুর্বের পেশায় ফিরে গিয়ে সাধারণ জীবনযাপন করে বাঁচতে পারে। এভাবেই আগের তুলনায় সীমান্ত হত্যা অনেক কমে এসেছে।
ত্রাণ বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সদর দফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জিএস শাখা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনুর রশিদ এবং তিস্তা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মোসাহিদ মাসুম।