ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা

রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকেই মুষুলধারে বৃষ্টি ঝরছে। এতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ ও বাসিন্দারা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীতে ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে রাজধানীর অনেক সড়কই চলে গেছে পানির নিচে। 

সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানী এলিফ্যান্ট রোড এলাকা ডুবে গেছে বৃষ্টির পানিতে। এতে ভোগান্তিতে যাতায়াত করছেন বাসিন্দারা।

এছাড়াও রাজধানীর নিউমার্কেট, আজিমপুর, লালবাগ, শান্তিনগর, যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক এমনকি বাড়িতে পানি ঢুকেছে। কোথাও কোথাও কোমর পানি তো কোথাও বুকসমান। আবার কোথাও কোথাও হাটু পর্যন্ত পানি। 

এ অবস্থায় অনেককেই প্যান্ট ব্যাগে করে লুঙ্গি পরে ডুবে যাওয়া এলাকা পারাপার হতে দেখা গেছে। 

এ বিষয়ে এক রিকশাচালক বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে রাস্তাঘাটে। তার পরেও এই অবস্থা। যতদিন দুর্নীতি দূর না হবে, ততদিন এই অবস্থা থাকবে।

আরেক পথচারী বলেন, একটু বেশি পানি হলেই ঢাকার অধিকাংশ এলাকা ডুবে যায়। এ থেকে পরিত্রাণ চায় ঢাকাবাসী।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে, ৩০৯ মিলিমিটার।

পূর্বাভাস বলছে, শুক্রবার সারাদিনই থাকতে পারে বৃষ্টির প্রবণতা। ভারী বৃষ্টিতে সিলেট ও চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে। 

শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভোর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে বয়ে যাচ্ছে ঠান্ডা বাতাস।  

তবে ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল ছিল খুবই কম। এর মধ্যেও যারা বের হয়েছেন, তারা ছাতা মাথায়, না-হয় ভিজে ভিজে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

আবহাওয়াবীদ তরিকুল নেওয়াজ বলেন, ‘বৃষ্টির প্রবণতা আজ সারাদেশেই অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে দেশের উত্তর অঞ্চলসহ সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে সিলেট ও চট্টগ্রামে ভূমিধস হতে পারে। শনিবার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে, তবে দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।’  

এদিকে ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর নীচু এলাকাগুলোতে পানি জমতে দেখা গেছে। শান্তিনগর, কাকরাইল, মালিবাগ, বেইলি রোড, মধুবাগ, রামপুরা, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, শ্যাওড়া পাড়া, কাজীপাড়াসহ মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক চলে গেছে পানির নিচে। বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগ পড়েন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা পরীক্ষার্থীরা।