কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কোন সম্পর্ক নেই: প্রধানমন্ত্রী
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৪ PM , আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৪ PM

চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে সহিংসতার ঘটনার মধ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই ভাষণ দেন তিনি।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আজকে অত্যন্ত বেদনাভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত ১৫ বছর ধরে অনেক উন্নয়ন করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন একটু স্বস্তি শান্তিতে ফিরে আসে, তখন তাদের মাঝে এমন কোন ঘটনা ঘটে যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
‘২০১৮ সালে ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সম্প্রতি আদালত এটি বাতিল করে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করে। রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে সুযোগ দেওয়া হয়। নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাস চরিতার্থ করতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেলো। আপনজন হারানোর বেদনা কত কষ্টের, তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি সব হত্যার নিন্দা জানাই।’
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত, তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কোন সম্পর্ক নেই। বরং সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারীদের মধ্যে ঢুকে এই সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে।
‘যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। কাদের উসকানিতে এই অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হলো, তা তদন্ত করে বের করা হবে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আমি আন্দোলনরত কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এই সন্ত্রাসীরা যেকোন সময় সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করে তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের পিতামাতা এবং শিক্ষকরা যেনো ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ নজর রাখে।