কারফিউ শিথিল হতেই ঢাকার রাস্তায় সেই চিরচেনা যানজট

কারফিউ
  © সংগৃহীত

কোটা আন্দোলনের জেরে ব্যাপক সহিংসতা ঠেকাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। আজ থেকে জারি করা কারফিউ শিথিল করেছে সরকার। তিন দিন পর আজ বুধবার (২৪ জুলাই) খুলেছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলের সুযোগে রাস্তায় বেড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহন।

বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর গুলিস্তান, ফার্মগেট, শাহবাগ মিরপুর, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল, গাবতলী, আগারগাঁও, উড়োজাহাজ ক্রসিং, তেজগাঁও, মতিঝিল, বনানী, মহাখালী, সায়দাবাদসহ বিভিন্ন রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট দেখা গেছে। যানজট ও গণপরিবহনের অভাবে ঢাকার রাস্তায় বিরাজ করে স্থবিরতা।

কয়েকদিন পর রাস্তায় নামা যাত্রীরা বলছেন, একদিকে বন্ধ মেট্রোরেল, অন্যদিকে বন্ধ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তার মধ্যে রাস্তা বিভিন্ন স্থানের চেকপোস্ট স্থাপন করার কারণে সড়কে প্রচণ্ড যানজট দেখা দিয়েছে৷ গণপরিবহনের অভাবে মূল সড়কেও দেখা যায় রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজির আধিক্য। রয়েছে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারও। গণপরিবহন না পাওয়ায় এবং যানজটের কারণে অফিসগামী যাত্রীরা সকালেই পড়েন বিপাকে।

ইয়াসিন আলী নামে এক পথচারী বলেন, কয়েকদিন পর রাস্তায় বাস চলাচল করতে দেখে ভালো লাগছে। যদিও বাসের সংখ্যা সীমিত, যানজট বেশি তবে সবমিলিয়ে ভালো লাগছে।

রাজধানীর আগারগাঁও মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় কর্মজীবী যাত্রীদের। এদের  মধ্যে এক যাত্রী বলেন, শেওড়াপাড়া থেকে বের হয়েছি রিকশায়। পুরো রাস্তা জট লাগা দেখে হেঁটে আসলাম আগারগাঁও, যাব মতিঝিল। কিন্তু রাস্তায় গণপরিবহন নেই বললেই চলে। যাও ২/১ টা দেখা যাচ্ছে সামনে যানজটে আটকা, আবার যাত্রীতেও ভরা। বাধ্য হয়ে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

ফার্মগেটে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা এক যাত্রী বলেন, বাংলামটর যাব, কোনো কিছু পাচ্ছি না। এখানে শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে, কিন্তু পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। যাও আছে যানজটে আটকে যাচ্ছে।

আরেক নামে এক যাত্রী বলেন, স্বজন ভর্তি ঢামেক হাসপাতালে। সেখানে যাব। অথচ রাস্তায় গণপরিবহন নেই বললেই চলে, যানজট ভোগান্তি তো আছেই।

ট্রাফিক তেজগাঁওয়ের শেরে বাংলা নগর জোনের সহকারী কমিশনার তারেক সেকান্দার বলেন, নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মেট্রোরেল বন্ধ, অন্যদিকে নিরাপত্তার কারণে বন্ধ গণভবনের সামনের সড়ক। সঙ্গত কারণে কল্যাণপুর মিরপুর গাবতলী শ্যামলীর সব গাড়ি আসছিল আগারগাঁও রুটে। সকাল দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রচুর প্রেসার ছিল সড়কে। এখন মোটামুটি স্বাভাবিক।

হঠাৎ করে অফিস খুলে দেওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন  মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার সৌমি ইমতিয়াজ। তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস খোলা। এরপর কারফিউ ফের সচল হবে। সড়কে চাপ কমবে তখন।