ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতাকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে যান তিনি। এরপর কিছু সময় সেখানে থাকেন তিনি। 
 
গতকাল ২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) এডিটরস গিল্ড আয়োজিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং হেড অব নিউজদের সঙ্গে মতবিনিময়ে শেখ হাসিনা বলেন,  আমার আশঙ্কা ছিল এ ধরনের একটা আঘাত আসবে। সমৃদ্ধির পথে দেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে বিএনপি-জামায়াত জোট এ ধরনের হামলা করতে পারে।
 
নাশকতাকারীদের শুক্রবারের (১৯ জুলাই) সহিংসতায় অচল মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন। এ দুই স্টেশন পুনরায় চালু হতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল ৩টার পর থেকে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মিরপুর ১০ নম্বরের স্টেশনের ডি গেইট এবং এ গেইট ভেঙে প্রায় ৩০০ জনের মতো প্রবেশ করেন। স্টেশনে গিয়ে যে যা পান সেগুলো ভাঙচুর করে। নাশকতাকারীদের তাণ্ডবে মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। সব কিছু ভেঙে চুরমার করে দেয়া হয়েছে।
 
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দীকি বলেন, স্টেশনে ঢুকে দুর্বৃত্তরা সব কিছুতেই আঘাত করেছে। প্রয়োজনীয় সব কিছু নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু তারা নিয়ে চলে গেছে। এ ছাড়া যে জিনসগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তার অধিকাংশই মেরামতযোগ্য নয়।  
 
এম এ এন ছিদ্দীকি বলেন, দুর্বৃত্তরা মেট্রোরেল স্টেশনটাকে এমনভাবে তছনছ করেছে তাতে মনে হয় যে, তাদের ভেতর সামান্যতম দেশাত্মবোধ নেই। এমন একটা সম্পদ ধ্বংস করার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে।
 
কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণের জন্য একটি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, স্টেশনগুলো যেভাবে ভেঙে চুরমার করে দেয়া হয়েছে, তা ঠিক করতে ন্যূনতম এক বছর বা তার বেশিও লাগতে পারে। কারণ এগুলো অর্ডার দিয়ে প্রোডাকশন করতে হয়।