সারাদেশে ১৪ পুলিশ নিহত, আহত তিন শতাধিক: পুলিশ সদর দপ্তর

সংঘর্ষ
  © ফাইল ছবি

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে দিনভর সারাদেশেই সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৯৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকায় সাতজন, মুন্সীগঞ্জে তিনজন, মাগুরায় চারজন, পাবনায় তিনজন, রংপুরে চারজন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশ সদস্যসহ মোট তেইশজন, বরিশালে একজন, ভোলায় তিনজন নিহত, বগুড়ায় পাঁচজন, জয়পুরহাটে একজন, ফেনীতে আটজন, কিশোরগঞ্জে পাঁচজন, কুমিল্লার দেবিদ্বারে একজন নরসিংদীতে ছয় জন, সিলেটে পাঁচজন ও লক্ষ্মীপুরে আটজন, শেরপুরে তিনজন, হবিগঞ্জে একজন, সিলেটে পাঁচজন ও ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একজন নিহত হয়েছেন।

এদিকে সারাদেশে সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যে ২৭ থানা, ফাঁড়ি, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও রেঞ্জ অফিস ভাঙচুর হওয়ার তথ্য দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

এই সংঘাত-সংঘর্ষে তিন শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।

এছাড়া হামলায় সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো তথ্য অনুসারে আক্রান্ত থানা, ফাঁড়িগুলো হলো—ডিএমপির যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও থানা, টাঙ্গাইলের গোড়াই হাইওয়ে থানা, বগুড়ার সদর, দুপচাঁচিয়া ও শেরপুর থানা এবং নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি, জয়পুরহাট সদর থানা, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা, রংপুরের গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও গংগাচড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ থানা, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর থানা, হবিগঞ্জের মাধবপুর ফাঁড়ি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ অফিস, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং দিনাজপুর সদর থানা।