এনবিআর চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ; ১৩ দফা দাবি
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৮ PM , আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৮ PM

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর একের পর এক প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন বড় বড় কর্মকর্তারা। এর আগে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ উচ্চপদস্ত ৬ কর্মকর্তা। এবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। দুপুরের দিকে যা এনবিআরের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন কর অফিসে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তারা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
গতকাল মঙ্গলবার এনবিআর চেয়ারম্যান অফিসে এলেও আজ তিনি অফিসে আসেননি বলে জানা গেছে।
এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি জানিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। এনবিআরে কেন বাইরের ক্যাডার নিয়ে এসে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে? শুল্ক, আবগারি ক্যাডার থেকে ২ বছরের জন্য এবং আয়কর থেকে ২ বছরের জন্য কাউকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে তারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলেও জানান।
তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের মতো আমরা সোচ্চার না হলে ভবিষ্যতে আরও মূল্য দিতে হবে।
এসময় তারা যথাসময়ে পদোন্নতি দেওয়াসহ ১৩ দফা দাবি জানান। ‘বৈষম্যবিরোধী রাজস্ব বোর্ডের কর্মচারী-কর্মকর্তারা’ ব্যানারে এসব দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো-
১. এনবিআর চেয়্যারম্যান নিয়োগ দিতে হবে শুল্ক, আবগারি ও আয়কর ক্যাডার থেকে।
২. সব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য আর মানা হবে না। সামান্য ভুলের কারণে সিরিয়াল লঙ্ঘন করে পদোন্নতি বন্ধ করতে হবে।
৩. সিরিয়াল লঙ্ঘন করার কারণে যারা পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন তাদের আগে পদোন্নতি দিতে হবে।
৪. সব কর্মকর্তা/কর্মচারীকে অবাধে অ্যাসোসিয়েশন করতে দিতে হবে এবং অ্যাসোসিয়েশনের যৌক্তিক সব দাবি মানতে হবে।
৫. নিজস্ব জমিতে অফিস করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. যথাসময়ে পদোন্নতি দিতে হবে। ফাইল আটকিয়ে রাখা যাবে না।
৭. যথাসময়ে পদোন্নতি পরীক্ষা নিতে হবে।
৮. যথাসময়ে ডিপিসি করতে হবে।
৯. যথাসময়ে নিয়োগ দিতে হবে।
১০. নিয়ম মাফিক বদলি ও পদায়ন করতে হবে। কোনো প্রকার বদলি বাণিজ্য মেনে নেওয়া হবে না।
১১. বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই চাকরিজীবী হলে তাদের সুবিধামতো জায়গায় বদলি দিতে হবে।
১২. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক সামান্য কারণে বদলি, খারাপ আচরণ, শোকজ, বরখাস্ত বন্ধ করতে হবে।
১৩. সব কর্মকর্তা/কর্মচারীর অফিসিয়াল অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।