ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করছে: সমন্বয়ক সারজিস
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৫ PM , আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৫ PM

ভারতীয় গণমাধ্যম সংখ্যালঘুদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের প্রতিটি দাবি যৌক্তিক। তাদের সব দাবি পূরণ হওয়া উচিত। তবে ভারতীয় গণমাধ্যম সংখ্যালঘুদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) যমুনা টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, আমরা হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মালম্বীদের সাথে কথা বলেছি। যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে তাদের দাবীগুলো পূরণ হওয়া উচিৎ। পার্শ্ববর্তীদেশসহ অন্যান্য দেশ সত্য তথ্যটি তুলে ধরেনি। তথ্যগুলোকে তারা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। এ সময় সংখ্যালঘুদের দাবিগুলো মানতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
রেমিটেন্স প্রসঙ্গে এই সমন্বয়ক বলেন, প্রবাসীরা আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ করেছিল। এখন দেশকে গঠন করতে হবে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ সময় তিনি প্রবাসীদের বৈধ মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানোর অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘুদের হামলা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুলভাল সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ওই প্রতিবেদনে মিথ্যাচারের কয়েকটি খবর তুলে ধরা হয়।
এর মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়ি পোড়ানোকে লিটন দাসের বাড়ি পোড়ানো; অন্য অগ্নিকাণ্ডের ছবি ব্যবহার করে সংখ্যালঘুদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ আরও অনেক উদাহরণ টানা হয়।
এছাড়াও ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশটিতে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের পুরনো খবর বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ধর্ষণ করা হচ্ছে বলেও প্রচার করা হয়। এছাড়াও কোরবানির পশু জবেহ করার দা-সহ এক হুজুরের ছবি ব্যবহার করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মারার জন্য যাচ্ছে বলেও প্রচার করা হয়।
এসব ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক বাংলাদেশ বিদ্বেষ এমনকি মুসলিম বিদ্বেষও দেখা গেছে। কয়েক জায়গায় ভারতীয় মুসলিমদের বাংলাদেশি বলে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের এক হকারকে উত্তর প্রদেশে ধরে বাংলাদেশি বলে হয়রানি করার ঘটনাও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো ভিডিওতে।