আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ কলেজছাত্র ইমনের মৃত্যু
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৬ PM , আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৬ PM
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত কলেজছাত্র ইমন (১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে মারা গেছেন। ইমন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের ছাত্র অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ছিলেন।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান সকাল পৌনে ৮টার দিকে মারা যান তিনি। ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ৪ আগস্ট বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোরাইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন ইমন। জানা গেছে, ইমনের বাবা নেই। টিউশনি করে পরিবার চালাতেন তিনি। চার ভাই-বোনের মধ্যে ইমন বড়। ইমন মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন তিনি।
ইমনের সহপাঠী সাইফুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইলের হেমনগর ইউনিয়নের ছাত্র অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ছিলেন ইমন। মেধাবী কলেজছাত্র ইমন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামনের সারিতে ছিলেন। গত ৪ আগস্ট বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোরাইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় পুলিশের একটি গুলি ইমনের বুকে আঘাত করে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। মুমূর্ষ অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ সকালের দিকে আইসিইউতে মারা যান তিনি।
সাইফুল আরও জানান, ১০ বছর বয়সে বাবা হারানো ৪ জনের পরিবারে ইমনই ছিলেন একমাত্র কর্মক্ষম। ফলে ছেলের চিকিৎসার ব্যয় বহনে এরইমধ্যে সহায় সম্বল বিক্রি করেছেন মা রিনা বেগম। বাবার মৃত্যুর পর পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে পরিবারের হাল ধরেন ইমন। তাঁর ছোট আরও দুই ভাই ও এক বোনে রয়েছে। সংসারে হাল ধরতে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন মা রিনা বেগম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল শনিবার (১৭ আগস্ট) রিয়াজ নামে গুলিবিদ্ধ আরও এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি জিগাতলায় আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন রিয়াজ।