আহতদের চিকিৎসা ও শহীদদের তালিকা করতে কমিটি গঠন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪১ PM , আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৩ PM
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও শহীদদের পরিবারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাহিদা বুশরা। তিনি বলেন, সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিচিতিসহ পুর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুতকরণ, সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন ও বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হয়। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয় মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন নাহিদা বুশরা, আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, নাহিদা সরোয়ার নিভা এবং ডাক্তার আতাউর রহমান রাজিব। তারা বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মতামত উত্থাপন করে। তারা সরকারের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কালক্ষেপণের বিষয়ে আলোকপাত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টিও উত্থাপন করা হয় এবং এ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
তিনি বলেন, শহীদদের সর্বোচ্চ প্রকৃত সংখ্যা এবং শহীদ পরিবারের প্রতি পূর্ণ সম্মানের সাথে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়। অনলাইন ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে তথ্য নেয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ ও কার্যকর করার জন্য দুই ধাপে ভেরিফিকেশনের প্রস্তাব উত্থাপন করে। ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে সব ধরণের জালিয়াতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় মেডিকেল টিমের প্রকাশিত সদস্যদের বা তাদের প্রতিনিধিদলের হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি নিয়ে আলোচনা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করছি। সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এর অনুমতিক্রমে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বিভিন্ন হাসপাতাল এর পরিচালকবৃন্দ ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে কাজ করে তালিকা প্রণয়ন ও অন্যান্য সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা আশা করছি, সরকার শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যখাতের এই দুর্দশা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজবে এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা প্রদানে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রকাশ করবে। কোন ধরনের অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে, দেশ সংস্কারের মতো স্বাস্থ্যখাতও খুব শীঘ্রই সংস্কার হবে।