প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও সচিবালয়ের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

উপদেষ্টা
  © সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের আশপাশে সব ধরনের গণজমায়েত, সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তি বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল (২৬ আগস্ট) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন (যমুনা) এর আশপাশের এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।

এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।

প্রথমদিকে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

তারও আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।