কুমিল্লার গোমতী ছাড়া সব জেলার পানি বিপৎসীমার নিচে

বন্যা
  © সংগৃহীত

ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়া ও ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের ১১টি জেলা। এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত ও প্রায় ৫৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ভেসে গেছে গ্রামের পর গ্রাম, শহরের পর শহর। তবে আসার কথা হলো কুমিল্লার গোমতি ছাড়া অধিকাংশ নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে গেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় হাসান এ তথ্য জানান। 

দেশের পূর্বাঞ্চলের বন্যাক্রান্ত জেলার সব নদীর পানি সমতলে হ্রাস পেয়েছে। গত ৭২ ঘণ্টায় ১৩টি পয়েন্টের মধ্যে ১২টিতেই পানি রয়েছে বিপদসীমার নিচে। একমাত্র গোমতিতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে । বুধবারের মধ্যে তা নেমে যাবার আশা বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের।

সরদার উদয় হাসান বলেন, ‘পূর্বাঞ্চলের যে জেলাগুলো বন্যাক্রান্ত ছিল সেগুলোকে পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে। নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে এবং অনেকক্ষেত্রেই বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির তেমন কোনো সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।’ 

স্থিতিশীল আছে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, গঙ্গা, পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি। ফারাক্কা ব্যারেজ খোলা থাকলেও উজান ও ভাটিতে নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। আপাতত বড় বন্যার শঙ্কা নেই।

সরদার উদয় হাসান বলেন, ‘ভারতের ফারাক্কা ব্যারেজ পয়েন্টের ভাটিতে এবং একই সঙ্গে উজানে নদ নদীর পানির অবস্থা স্থিতিশীল আছে। এর ফলে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন আমাদের দেশে পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’  
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে তবে তা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘বন্যাতে বাংলাদেশের যে অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাত এটার কন্ট্রিবিউশন কিন্তু খুবই নগণ্য। বলা হয় বন্যাতে অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাতের কন্ট্রিবিউশন মাত্র ৮ থেকে ১০ ভাগ। আগামীতে যে রকম বৃষ্টি আমরা আশা করছি, তাতে দেখা যাচ্ছে যে এটা খুব বেশি ইমপ্যাক্ট পড়ার মতো নয়।’ 

এদিকে সমুদ্র এলাকায় ৩ নং সতর্কতা সংকেত তুলে নেওয়া হয়েছে।