অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সিআইডির এসপি শামীমার দায়মুক্তি
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৪৭ PM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৪৭ PM
অসদাচরণের অভিযোগে দায়ের করা বিভাগীয় মামলার তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) শামীমা ইয়াসমিন। এজন্য তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিশেষ পুলিশ সুপার শামীমা ইয়াসমিনকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ও ইতোপূর্বে ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের বিশেষ পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) শামীমা ইয়াসমিন কর্মরত থাকাকালীন নিয়মিত অফিসে গড় হাজির থাকার বিষয়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে মৌখিকভাবে বারবার বলা সত্ত্বেও তার আচরণের কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত না হওয়া, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত অফিসে অনুপস্থিত থেকে ট্রেনিং বিষয়ক এবং অন্যান্য অফিসিয়াল কার্যাদিসহ রুটিন মাফিক অফিসের কর্মসম্পাদন না করা, অনুপস্থিতির বিষয়ে তাকে কৈফিয়ত তলব করা হয়।
দীর্ঘদিন জবাব না দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুর পর তাকে কারণ দর্শানো হয়। তিনি কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের গত ৮ ফেব্রুয়ারি তার ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিকালে আনীত অভিযোগ, অভিযুক্ত কর্মকর্তার লিখিত জবাব, উভয়পক্ষের বক্তব্য এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক তথ্য-প্রমাণাদির আলোকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের প্রয়োজনীয়তা থাকায় গত ২৯ এপ্রিল সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৭(২)(ঘ) বিধি মোতাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, তদন্তকারী কর্মকর্তা সকল বিধি-বিধান প্রতিপালনের পর সরেজমিনে তদন্ত শেষে গত ২০ আগস্ট দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’- এর অভিযোগ তদন্তকালে গৃহীত সাক্ষ্য প্রমাণে প্রমাণিত হয়নি বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
এমতাবস্থায়, বর্তমানে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) শামীমা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্রাদি বিবেচনায় তাকে বিভাগীয় মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।