পুলিশকে মানবিক ও জনবান্ধব বাহিনী রূপে ফেরাতে কাজ চলছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ PM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। অনেকেই পুলিশকে হায়েনা রূপেও বর্ণনা করেছেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ যেন পুরোনো রূপে মানবিক পুলিশ হিসেবে উজ্জীবিত হয়ে ফিরে আসে এবং পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে জনবান্ধব পুলিশ যেন হয় সে বিষয়ে আমরা সবাই কাজ করছি। জনগণের একটা আশা, তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী পায়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি সদর দপ্তরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয়। এটা যেন কোনো কাগজ-কলমে না থাকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। থানা পর্যায়ে লোকজনকে অনেক সময় বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে তাদের যে সমস্যা সেটার সমাধান করতে পারেন না, সবসময় সমাধান সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরেও তাদের যেন প্রাথমিক সেবা দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশকে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি রাজধানীর ট্রাফিক ও চাঁদাবাজি সমস্যা সমাধানে ডিএমপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ট্রাফিকে যে একটা সমস্যা হচ্ছে, এই ট্রাফিকটা কীভাবে উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চাঁদাবাজি কীভাবে বন্ধ করা যায় এই সম্বন্ধে কথা হয়েছে। চাঁদাবাজিটা যদি বন্ধ হয় জিনিসপত্রের দামটা একটু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে। বাদী আসামিদের চেনে না। পুরাতন ফরম্যাটে হয়রানির বিষয় জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ কিন্তু আগে মামলা দিত, এই সময়ে কোন পুলিশ একটা মামলা দিয়েছে? আগে পুলিশ ১০ জনের নাম দিয়া ১০০ জনকে অজ্ঞাত রেখে দিত। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ কিন্তু মামলা দিচ্ছে না, এটা কিন্তু সাধারণ পাবলিকরা দিচ্ছে। যদি পুলিশ একটা এমন মামলা দেয় আপনি আমার কাছে আইনেন, যে ১০ জনের নাম দিয়ে, ৫০০ জনকে অজ্ঞাত করে দেওয়া। এখন যারা মামলা দিচ্ছে সাধারণ জনগণ। তাদের বলতে হবে ভাই, যারা অ্যাকচুয়াল ক্রিমিনাল নাম দেন। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, শুধু যারা দোষী তাদেরই নাম দেন। অন্য কারও নাম দিয়েন না। অন্য নাম দিলে এইটা তদন্ত করতে সময়ও বেশি যাচ্ছে এবং অনেক সময় নিরীহ লোকও হেনস্তার শিকার হবে। এ জন্য আমরা কিন্তু বলে দিয়েছি যে, সাধারণ লোক যেন হেনস্তা না হয়। তদন্ত ছাড়া কাউকেই অ্যারেস্ট করা হবে না।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটছে। এটা বন্ধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, মব জাস্টিসের ক্ষেত্রে জনসচেতনতাটা একটু বাড়াতে হবে। কালকে দেখলাম জাহাঙ্গীরনগরে, তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত। তাদের ক্ষেত্রে তো এই সচেতনতাটা আসতে হবে। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। আইন হাতে তুলে নেওয়ার কারও কিন্তু অধিকার নেই। আইনের হাতে তাকে সোপর্দ করতে হবে। এইটার ক্ষেত্রে আপনারাও একটু আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।