সম্প্রীতি নষ্ট করতে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ PM , আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ PM
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সবাই সম্প্রীতি চায়। কিন্তু এই সম্প্রীতিতে কোথায় যেনো একটা ছন্দপতন হচ্ছে। সম্প্রীতি নষ্ট করতে বাহির থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটি সেনানিবাসে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও জাতিগোষ্ঠীর নেতা এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, সভায় আলোচনায় একটি বিষয় এসেছে তা হচ্ছে- পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য একটি কমিশন গঠন করে তদন্ত কমিটি করা যেনো প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা যায়।
তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো ভেদাভেদ দেখা যায়নি। প্রত্যেকের কণ্ঠে একটি কথা ছিলো যে তারা সবাই সম্প্রীতি চায়। ফলে আশা করি রাঙ্গামাটি সুন্দর ও সম্প্রীতির শহর হিসেবে বাংলাদেশ ও বিশ্বে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
এর আগে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে রাঙামাটি যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। শনিবার সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি রাঙামাটি পৌঁছায়।
এদিকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ও তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে।
তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। একই সঙ্গে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস, সিএনজি, ট্রাক ভাঙচুর ও শ্রমিক আহতের প্রতিবাদে মালিক শ্রমিক যৌথ বিবৃতিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
রাঙামাটি শহরের পৌর এলাকায় এখনো ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। শহরের মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যারাই ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদেরই টহল দলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি থমথমে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র থেকে যানা যায়, শুক্রবার তুলনায় শনিবারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পরিস্থিতি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শনের একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর জনৈক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত এবং ব্যথিত। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।