আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৪৯ দিন পর মারা গেলেন স্কুলছাত্র রাতুল

রাতুল
  © সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন স্কুলছাত্র জুনায়েদ ইসলাম রাতুল। দীর্ঘ ৪৯ দিন লড়াই করার পর অবশেষে মারা গেছে রাতুল। আহত হবার পর থেকেই চিকিৎসাধীন থেকে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে মারা যায় এই কিশোর। রাতুল বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো।

রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান জানান, পাঁচ আগস্ট সকাল থেকেই বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকায় ছাত্রজনতার বিক্ষোভে ছিল রাতুল। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছাত্রজনতার মিছিলটি যখন বগুড়া সদর থানার দিকে এগোচ্ছিল, সে সময় পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় রাতুল। রাতুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে। প্রায় একমাস ২০ দিন চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার ভোরে হাসপাতালে মারা যায় রাতুল।

রাতুলের স্বজনরা জানান, বারোটার পর দিকে হাসপাতাল থেকে রাতুলের মরদেহ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। সেখানে জানাজা শেষে রাতুলের মরদেহ নেয়া হবে বগুড়া শহরের হাকির মোড় এলাকায় রাতুলদের বাসায়। পরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করার কথা জানান স্বজনরা।