ড. ইউনূসের বিদেশ যাওয়ার দরকার নেই, তাঁর উচিৎ জনগণের কাছে যাওয়া: ফরহাদ মজহার
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৩ PM , আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৩ PM
দীর্ঘদিন ধরেই ড. মুহম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করে আসছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আগেও তিনি ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন, অলিম্পিক তদারকি করার জন্য। এখনও তিনি বিদেশের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন বলে অনেকের ধারণা।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন কবি ও বিশিষ্ট চিন্তক ফরহাদ মজহার। তাঁর (ড. ইউনূসের) জনগণের কাছে যাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন মজহার।
আজ মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরসি মজুমদার মিলনায়তনে সংস্কার সংঘের আয়োজনে ‘আমাদের স্বাধীনতা: আমাদের মানচিত্র’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা একটা গণ-অভ্যুত্থান করেছি। আমি যদি বলি, এ গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে, আপনাদের কষ্ট হয়। অনেক লোক জীবন দিয়েছে, বহু লোক পঙ্গু আছে। ফ্যাসিস্ট সংবিধান তাঁরা রক্ষা করবেন বলেছেন, শেখ হাসিনার সংবিধান রক্ষা তারা করবেন। যদি তারা করে তাহলে সংবিধান সংশোধন, কমিশন গঠন করার এখতিয়ার তাদের নেই। কিন্তু তারা করছে। এ সরকার আপনাদের (জনগণের) সরকার নয়। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকার গঠন করা, এটা আপনারা করতে পারেন নাই।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘ড. ইউনূসের বিদেশে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। দেশে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, তাঁর উচিত জনগণের কাছে যাওয়া। জো বাইডেনের কাছে যাওয়া না। বাংলাদেশের জনগণের কাছে যাওয়া তার প্রধানতম কাজ। জো বাইডেনের কাছে গেলে কী হবে? জো বাইডেন আমেরিকাতে জেনোসাইড জো নামে বিখ্যাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণেরা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য লড়াই করছে, তারা বিভিন্ন রকম হামলা-হুমকির মুখে পড়ছে। তাদের কাছে বাইডেন জেনোসাইড জো নামে পরিচিত।’
‘এখন জেনোসাইড জোর কাছে আপনি (ইউনূস) গেছেন, যেতেই পারেন। সেখানে হ্যান্ডশেক করতে পারেন। দুর্বল দেশ করতেই পারেন, পরামর্শের জন্য। জো বাইডেন যখন আপনাকে চুমু খায়, আপনার প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে হাজির হয় তখন এটা একটা মারাত্মক বার্তা দেয়।’
সেনাপ্রধানের কথা উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘জেনারেল ওয়াকার বলে, এ সরকারকে সমর্থন করি। আমরা তাঁর থেকে জিজ্ঞেস করেছি? মানে কী। এখানে একটা বার্তা দেয়, আপনারা একটা সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার পেয়েছেন। যদি সমর্থন না করে তাহলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাঁদের লিগ্যাল কোনো বৈধতা নেই। আইনি কোনো বৈধতা নেই। এ সরকারকে আমরা সমর্থন করি, তবে তার মানে এ সরকারের সমালোচনা করব না এমন না।’
দেশে বর্তমানে মাজার ভাঙার ঘটনা উল্লেখ করে এ সংস্কৃতিকে ইন্দো-ইসরায়েলীয় পরিকল্পনার অংশ বলে মন্তব্য করেন এ চিন্তক।