২০২৯ পর্যন্ত কর অব্যাহতি পেল গ্রামীণ ব্যাংক

ব্যাংক
  © ফাইল ফটো

১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ অনুযায়ী কর অব্যাহতি পেয়ে আসছিল ক্ষুদ্র ঋণের পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। ২০১৩ সালে অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হলেও বহাল ছিল ওই কর অব্যাহতি।

আয়কর রিটার্ন দাখিলের শর্তে গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির সুবিধা ফিরিয়ে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এ বিষয়ে সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ (এসআরও) প্রকাশ করেছে এনবিআর। এতে সই করেছেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব। এতে বলা হয়, আদেশ জারির তারিখ থেকেই এই সুবিধা কার্যকর হবে।

১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ অনুযায়ী কর অব্যাহতি পেয়ে আসছিল ক্ষুদ্র ঋণের পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। ২০১৩ সালে অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হলেও বহাল ছিল ওই কর অব্যাহতি। বিভিন্ন মেয়াদে কর অব্যাহতি নবায়ন করা হতো। সর্বশেষ ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতি ছিল।

তবে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ সুবিধা বন্ধ রাখা হয়। সে বছরের আয়ের ওপর প্রচলিত নিয়মে কর পরিশোধ করতে হয় ব্যাংকটিকে।

গ্রামীণ ব্যাংক সেসময় কর অব্যাহতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদনও করে, কিন্তু তাতে সম্মতি পায়নি। এবার নতুন করে পাঁচ বছর তিন মাসের জন্য কর অব্যাহতির সুবিধা পেল গ্রামীণ ব্যাংক।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৮ বছর এই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। শান্তিতে এই প্রতিষ্ঠানের সাথেই যৌথভাবে নোবেল জিতেছিলেন ড. ইউনূস।

গ্রামীণ ব্যাংকের পাশাপাশি অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকেও ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত কর অব্যাহতির সুবিধা দেওয়া হয়েছে।