অভ্যন্তরীণ কারণে ৩ মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৫১ শতাংশ: বাংলাদেশ ব্যাংক

খাদ্যপণ্য
  © ফাইল ফটো

গত তিনমাসে মূল্যস্ফীতির ৫১ শতাংশই এসেছে খাদ্যপণ্য থেকে। যার বেশিরভাগই হয়েছে অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যশস্য ও সবজির দাম বৃদ্ধির কারণে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। প্রতিবেদন বলছে, আন্তর্জাতিক নয়, ববং অভ্যন্তরীণ কারণেই জেঁকে বসেছে দেশের মূল্যস্ফীতি। 

দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কমছে মানুষের প্রকৃত আয় ও ক্রয়ক্ষমতা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করা হয়েছিলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক বাজারকে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, অভ্যন্তরীণ কারণেই জেঁকে বসেছে মূল্যস্ফীতি।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এ তিন মাসে মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দিয়েছে খাদ্যশস্য ও সবজির দাম। এর আগে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতির বড় প্রভাবক ছিল আমিষ পণ্য, মসলা ও রান্নায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় পণ্যের। পাশাপাশি চাল, গম ও সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী ছিল। পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় জুলাইয়ে দেশের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় গত এক যুগে সর্বোচ্চে। বিশেষ করে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৩ বছরে শীর্ষে।

কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, আগের সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও বাজারে অভিযানের ওপরেই নির্ভর করছে বেশি।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এখন যে মূল্যস্ফীতি সেটা আগের মূল্যস্ফীতির প্রলম্বিত ছায়াও আমরা দেখি। কিন্তু তারপরও এটা আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনা, আমাদের চাহিদা ও সরবরাহের সমন্বয়হীনতা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে সমন্বয়ের প্রয়োজন সেটার অভাব রয়েছে।’

২০২২ সালের এপ্রিল থেকে দেশের মজুরি বৃদ্ধির চেয়ে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি তুলনামূলক বেশি। এতে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে সাধারণ মানুষের।