বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় রাশিয়া
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৬ PM , আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৬ PM
রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই এ রিয়াবকভ বাংলাদেশের সঙ্গে ‘পরিপক্ব’ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। কাজানে ১৬তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন রাশিয়ার কাজানে ১৬তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রুশ ফেডারেশনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই এ রিয়াবকভের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উভয় পক্ষই দুদেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ওপর জোর দিয়ে পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। মস্কোতে পরবর্তী ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠান নিয়েও আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। দুদেশের মধ্যে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘পরিপক্ব’ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। ব্রিকসে অবদান রাখতে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহের কথা জানান।
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিকস প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশ্বস্ত করেন, রাশিয়ার সরকার ভবিষ্যতে ব্রিকস সম্প্রসারণকালে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহুপাক্ষিক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে বহুপাক্ষিকতার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, টেকসই ও বহুপাক্ষিক বৈশ্বিক ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্সির অধীনে ব্রিকস ঘোষণা (কাজান ঘোষণা) উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাস্তবভিত্তিক ফলাফল বয়ে আনবে বলে আশা করেন। তিনি নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) পূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকাও তুলে ধরেন এবং অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।
বৈঠকে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, ফয়সাল আহমেদ ও উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিকসে বক্তব্য: পররাষ্ট্র সচিব কাজানে ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, অভিবাসীদের অধিকার, জলবায়ু ন্যায়বিচার, অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক ব্যবস্থায় গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠকে প্রসারিত ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান।