বাংলাদেশে চিনি, পেঁয়াজ ও খেজুর রপ্তানিতে আগ্রহী পাকিস্তান
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ AM , আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ AM
বাংলাদেশে চিনি, পেঁয়াজ ও খেজুর রপ্তানিতে পাকিস্তান সরকারের আগ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ। শুধু তা–ই নয়, বাংলাদেশে গমও রপ্তানি করতে চায় দেশটি।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠককালে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ এই আগ্রহের কথা জানান। বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সাক্ষাৎকালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনা, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক বৃদ্ধি ও যৌথ কার্যদলের কার্যক্রম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে পাকিস্তানের হাইকমিশনার জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ভালো গম উৎপাদিত হয়। তবে রপ্তানি করা হয় না। উদ্বৃত্ত উৎপাদন হলে গম রপ্তানিতে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেবে পাকিস্তান।
ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার অংশ হিসেবে উপমহাদেশে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে এবং এ সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে। সময় ও খরচ কম হওয়ায় এতে উপকৃত হয়েছে দুই দেশই।
করাচি থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে সরাসরি একটি জাহাজ এসেছে। এ জাহাজে বাংলাদেশে এসেছে ফেব্রিকস, চুনাপাথর, সোডা অ্যাশ, পেঁয়াজ, ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট ও ডলোমাইট। এগুলোর বেশির ভাগই বস্ত্রশিল্পের কাঁচামাল। বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মধ্যে বরাবরই তা পাকিস্তানের অনুকূলে। ২০২৩ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে প্রায় ৬৫ কোটি ডলারের পণ্য। বিপরীতে পাকিস্তানে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৬ কোটি ডলারের একটু বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, রমজান সামনে রেখে সরকার পেঁয়াজ, চিনি, খেজুরসহ নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে চায় সরকার।
বাণিজ্য উপদেষ্টা সার্ককে পুনর্জীবিত করার ব্যাপারে জোর দেন। তাঁর মতে, এটি হলে সদস্যদেশগুলো উপকৃত হবে এবং দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আগে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করেন হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ। বৈঠক করেন তিনি এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক হাফিজুর রহমানের সঙ্গেও। হাইকমিশনার উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও উষ্ণ করতে চান বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।