যাত্রাবাড়ীতে থেমেছে সংঘর্ষ; চারিদিকে ক্ষতচিহ্ন

যাত্রাবাড়ী
  © সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের মধ্যে চলা সংঘর্ষ আপাতত থেমেছে। তবে এতে আহত হয়েছে অনেকে।

আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে কলেজটির সামনে সেখানকার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অবস্থান নেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা তখন এলাকায় আর দেখা যায়নি।

এদিকে হামলার পর মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে গিয়ে ভাঙচুরের চিত্র দেখা গেছে। কলেজটির ১০তলা ভবনের সব তলায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আসবাব।

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, তাঁদের কলেজে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এরপর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। কলেজের টাকাপয়সাও লুট করা হয়েছে।

আজ দুপুর ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শত শত শিক্ষার্থী গিয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালান। ভাঙচুর ও লুটপাটের পর বেলা একটার দিকে সেখানে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে
গতকাল রবিবার ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জের ধরে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগের দিনের হামলার জের ধরে আজ মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালানো হয়।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গতকাল মাহবুবুর রহমান কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আমরা এর প্রতিশোধ নিতে এসেছি। মোল্লা কলেজে ঢুকে যা পেয়েছি, তা নিয়ে এসেছি।’

ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যকে দেখা গেছে। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

সংঘর্ষে বহু আহত
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছেন।

তাঁরা হলেন রানা আহমেদ (১৮), মো. সিফাত (১৮), নাহিদ আলম (২২), তাসরিফ (১৮), শহিদুল ইসলাম (১৯), আবদুর রহমান (১৮), আরাফাত (২২), নোমান (২০), মারুফ (১৮) ও আশিকুল (১৯)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আহত ব্যক্তিদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।