রিজার্ভ বাড়লো ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার

রিজার্ভ
  © সংগৃহীত

দুই সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। আর আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী হাল নাগাদ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দুই মাসের বিল পরিশোধের পর নভেম্বরের মাঝামাঝি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। অর্থাৎ রিজার্ভ দাঁড়ায় এক হাজার ৮৪৩ কোটি ৭০ হাজার ডলার বা ১৮ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম৬)। এরপর থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার বাড়তে থাকে।

সর্বশেষ ৮৮ নভেম্বর রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারে (বিপিএম৬)। একই সময় বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ৪৪৫ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলারে। এই সময়ে নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

প্রতি দুই মাস পরপর আকুর বিল পরিশোধ করতে হয়। যার পরিমাণ প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। কম প্রয়োজনীয় বা বিলাসী পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার ফলে আমদানি ব্যয় কমে আসে। এর প্রভাব পড়ে আকু অঞ্চলের রিজার্ভেও। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসে বাংলাদেশকে এক দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়।

নভেম্বর-ডিসেম্বরের আকু অঞ্চলের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে। সে সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার দেড় বিলিয়ন ডলার কমবে। অবশ্য তার আগে বর্তমান রিজার্ভ বেড়ে আবার ২০ বিলিয়নকে স্পর্শ করবে।