দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ সেনাপ্রধানের
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ PM , আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ PM
সামরিক চেতনাবোধকে সমুন্নত রেখে যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে সব সময় প্রস্তুত থাকতে নবীন সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেইসাথে দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ৮৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি ও ৫৯তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
এদিন সকালে বিএমএর প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান সেনাপ্রধান। শুরুতেই তিনি নবীন ক্যাডেটদের অভিবাদন গ্রহণ করে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এরপর পুরস্কার পাওয়া ক্যাডেটদের হাতে স্মারক তুলে দেন তিনি।
পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান কমিশন পাওয়া কর্মকর্তাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নিদের্শনা দেন। প্রত্যেক সেনাসদস্যের সাহসিকতার সঙ্গে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষাই প্রথম ও প্রধান কাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা প্রধান চালিকাশক্তি উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, নবীন কর্মকর্তাদের ওপর অর্পিত হবে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। তাই তাদের যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে নিজের বিবেকের দারস্ত হওয়ান আহ্বান জানান তিনি।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করা ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেন, ‘শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব।’ তিনি সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য একাডেমির কমান্ড্যান্ট, সংশ্লিষ্ট সব অফিসার, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান সেনাপ্রধান।
আইএসপিআর আরও জানায়, দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এই কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের ২১৩ জন অফিসার ক্যাডেট এবং ৫৯ বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ১৪ জন অফিসার ক্যাডেট ও চারজন ট্রেইনি অফিসার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ২০৭ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার আবদুল্লাহ আল আরাফাত, ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা ক্যাডেট হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করা ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের পর তাদের বাবা-মা ও আগত অতিথিরা নবীন অফিসারদের র্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে তাকে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে বন্ধুপ্রতিম দেশ শ্রীলঙ্কান মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের বাবা-মা ও অভিভাবকরা এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।