ভারতীয় গণমাধ্যমে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলে মত সনাতনী নেতাদের
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ PM , আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ PM
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে ব্যাপক অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত আক্রমণ নিয়ে সরব দেশটি। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলে মনে করছেন, সনাতন ধর্মের নেতারা। তাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবাদ সমাবেশগুলো ভোটের রাজনীতি। এ বিষয়ে দেশের সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারা বলছেন, অপপ্রচারের ফাঁদে পা দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়। বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন পতিত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা।
এরপর থেকেই ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের একের পর এক অভিযোগ তুলে ধরছে। এমনকি ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষকে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাকেই সাম্প্রদায়িকতার রং দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
হিন্দু নেতারা বলছেন, ভারতীয় গণমাধ্যমে যে চিত্র দেখানো হচ্ছে তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনোই মিল নেই। ৫ আগস্টের পরে যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বেশিরভাগই রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজীব কুন্ডু তপু বলেন, ‘ভারতীয় মিডিয়া অতিরঞ্জিত করে প্রচার করেছে। আমি মনে করি ৫ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট দেশ একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি পার করছিল। যেহেতু তখন পুলিশ প্রশাসন ছিল না।’
জাতীয় হিন্দু মহাজোট মনে করে, দেশে হিন্দু নির্যাতনে গুজব ছড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে মাঠ গরম করা হচ্ছে, তা কেবলই তাদের ভোটের রাজনীতি। আর এতে ইন্ধন দিচ্ছে পতিত সরকারের দোসররা।
বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘ওখানে যেটা করে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে যত বেশি নির্যাতনের কাহিনি বলতে পারবেন ততবেশি ওখানকার হিন্দুদের এক করে মুসলমান বিরোধী সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে বিজিপি ক্ষমতায় আসতে পারবে। কারণ ওখানে ক্ষমতার রাজনীতি বেশি। নীতি–নৈতিকতা অতটা বেশি নাই।’