প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের সুপারিশ জমা দিয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো:
জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবস্থাপনা:
১. জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০২৩ বাতিল করা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন-২০১০ পুনর্বহাল করা, যাতে এটি আধুনিক আইডেন্টিটি সিস্টেমের জন্য আইনি ভিত্তি তৈরি করতে পারে।
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের বিদ্যমান স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) পর্যালোচনা করে কার্যক্রমকে জনবান্ধব করা।
৩. ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সব নাগরিককে ছবি সম্বলিত স্মার্টকার্ড প্রদান এবং এটি ভোটার শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
এনআইডি তথ্য ফাঁস বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের ব্যবস্থা করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
-
ভবিষ্যতে ১০ বছর বা তদূর্ধ্ব শিশুদের জন্য এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম গ্রহণ করা।
-
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে এনআইডি প্রণয়ন, সংরক্ষণ এবং বিতরণের দায়িত্ব প্রদান করা।
আইডেন্টিটি এবং আইডেন্টিটি সিস্টেম:
-
জাতীয় পরিচয়পত্রকে ডিজিটাল (ভার্চুয়াল) ভার্সনে রূপান্তরের ব্যবস্থা করা এবং Self-sovereign Identity (SSI)-ভিত্তিক সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা।
-
SSI-ভিত্তিক সিস্টেম বাস্তবায়ন ও আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা, যাতে সরকারি এবং বেসরকারি পরিষেবাগুলো নিরাপদভাবে রূপান্তরিত হতে পারে।
-
স্মার্টফোন এবং ফিচার ফোনের জন্য SSI ওয়ালেট ডেভেলপ করা এবং এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত নিরাপত্তা নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা অডিট করা।
-
জাতীয় পরিচয় ব্যবস্থার সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে একটি প্রাইভেসি আইন প্রণয়ন করা, যা ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহার রোধ করবে।
কমিশনের এই সুপারিশগুলো নিয়ে দলের সঙ্গে আলোচনা পরবর্তী সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।