রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ দিবসটি উপলক্ষে একটি বাণী দিয়েছেন, যেখানে তিনি বলেন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার এক অবিস্মরণীয় দিন। তিনি বলেন, এই দিনটি শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন বন্ধ করার জন্য রাজনীতিবিদ, ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ জনগণের বিক্ষোভের মাধ্যমে নতুন একটি ইতিহাসের জন্ম দেয়। ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন মতিউর রহমানসহ অনেক আন্দোলনকারী। রাষ্ট্রপতি তাদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বলেন, তাদের রক্ত বৃথা যায়নি; আজ আমরা স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করছি।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও একটি বাণী প্রদান করেন, যেখানে তিনি বলেন, বায়ান্নরের ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা এবং ১১ দফার সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ সুগম করেছিল। তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এই সংগ্রামের ফলস্বরূপ আমরা একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে তার ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং বলেন, ২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ সংগ্রামের পর, তৎকালীন পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার প্রবল প্রতিরোধের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতার পথে আমাদের চলার পথকে প্রশস্ত করে।
আজকের এই দিনটি আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক স্মরণীয় মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত।