তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের গুলশান-১ সড়ক অবরোধ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ PM , আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ PM
-13157.jpg)
সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। সর্বশেষ, ২৯ জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য আমরণ অনশন শুরু করেছেন তারা। এরপর আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার পর একই দাবিতে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর সড়কের মোড়ে অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা।
এ অবরোধের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বন্ধ হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বের হওয়া গাড়িগুলো মোড়ের চারপাশে আটকে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিটি দীর্ঘদিনের। কিন্তু এই যৌক্তিক দাবিটি নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তারা অভিযোগ করেছেন, কিছু শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই, তারা সড়ক অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বলেন, তাদের দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সাত দফা দাবি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি হলো:
১. তিতুমীর কলেজকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
৩. সকল শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে অথবা তাদের আবাসিক খরচ সরকারকে বহন করতে হবে।
৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।
৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পিএইচডি ধারী যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৬. শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার নির্মাণের জন্য জমি এবং আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে, ৩০ জানুয়ারি রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান এবং তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেন। তবে, শিক্ষার্থীরা জানিয়ে দেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তাদের অনশন চলবে।