বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নেবে ইতালি

ইতালি
  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ইতালি। আজ সোমবার (৫ মে) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশ সফররত ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশিদের নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন, মানব পাচার মোকাবেলা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি বলেন, সেপ্টেম্বরের আগে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ রোম ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নবায়ন এবং পুনরায় চালু করতে আগ্রহী। ইতালিতে আমাদের একটি দুর্দান্ত বাংলাদেশি সম্প্রদায় রয়েছে। আমরা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রতি সত্যিই সন্তুষ্ট কারণ তারা তরুণ, পরিশ্রমী এবং ইতালীয় সমাজে নিখুঁতভাবে একীভূত হয়েছে। ইতালিতে আমাদের তাদের আরও প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আমি এখানে আসার কারণ হলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা যে তাদের অনেকেই ইতালিতে পৌঁছানোর জন্য অবৈধ উপায়ের ওপর নির্ভর করে, যা বিপজ্জনক। আমরা এমন অভিবাসীদের চাই যারা আইনি কাঠামো অনুসরণ করে। সমুদ্রপথে অভিবাসীদের অনিয়ন্ত্রিত আগমন ইউরোপীয় দেশটির জন্য খুবই সমস্যাযুক্ত। অবৈধ অভিবাসন এবং সংগঠিত অপরাধ নির্মূলে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা এখানে সহযোগিতার একটি নতুন নীতি প্রস্তাব করতে এসেছি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অবৈধ অভিবাসন এবং মানব পাচার বন্ধে বাংলাদেশ ইতালির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা স্বাগতিক দেশের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ এবং ইতালিতে তাদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয় তার জন্য কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে কিছু লোক আছে যারা অবৈধ উপায়ে তাদের ইতালিতে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে, এরাই সমস্যা তৈরি করে। অভিবাসীরা মানব পাচারের শিকার, সুবিধাভোগী নয়।

প্রধান উপদেষ্টা গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন এবং বলেন, এই সমস্যা মোকাবেলায় দুই দেশ একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।