৬১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে বিএম ডিপোর আগুন
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২২, ০১:৩৫ PM , আপডেট: ০৭ জুন ২০২২, ০১:৪১ PM

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনার পর অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন। প্রায় ৬১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল। একই সাথে ডিপো থেকে আর কোনো বড় ধরনের বিপদ হওয়ার শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় এ তথ্য জানানো হয়। আরিফুল ইসলাম হিমেল বলেন, গত রোববার সকাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রায় দুই শতাধিক সদস্য বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে কাজ করছে। ডিপোতে এসে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এখন যে আগুনটা আছে তা প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। কারণ এলাকাটা অনেক বড়। প্রায় ২৬ একর জায়গায় ডিপোটি। এখানে কনটেইনারের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। কনটেইনারগুলো একটির পর আরেকটি লাগানো ছিল। কনটেইনারগুলো নিচে নামিয়ে কাজ করতে সময় লাগে।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, জ্বলন্ত কনটেইনারের পাশে কিছু ভালো কনটেইনার ছিল। সেগুলো আমরা পৃথক করে রেখেছি। যাতে আগুনটা আর না বাড়ে এবং ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আগুন প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এখান থেকে আর কোনোভাবে আগুন ছড়ানোর সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর সেখানে রাসায়নিক কনটেইনার থাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিসের চৌকস কর্মকর্তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক চেষ্টা চালালেও নিয়ন্ত্রণে আসছিল না আগুন। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে। অবশেষে ৬১ ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে বিএম ডিপোর আগুন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৪১। যাদের মধ্যে ১২জন ফায়ার ফাইটার ছিলেন। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের জেলা প্রশাসনের সহায়তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।