খালেদা জিয়াকে বাসায় নেওয়া হচ্ছে সন্ধ্যায়
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২২, ০৫:৩৪ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২২, ০৬:০১ PM

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে সন্ধ্যায় বাসায় নেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার(২৪জুন) বিকালে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন তার চিকিৎসক দলের সদস্যরা এ তথ্য জানান।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শারীরিক জটিলতা থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে খালেদা জিয়াকে বিকেলে বা সন্ধ্যায় বাসা নেওয়ার কথা রয়েছে। বাসায় নিয়মিত তাকে মনিটরিংয়ে রাখা হবে। জটিলতা দেখা দিলে আবার হাসপাতালে আনা হবে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কিডনির জটিলতা কিছুটা সমাধান করা গেছে। তবে তার অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া হবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ওনার ব্লিডিংয়ের যে ঝুঁকি, সিরোসিস অব লিভার সেসব কিন্তু রয়েই গেছে। এটার কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমরা শুধু ওনার ব্লিডিং স্পটগুলোকে মাইগ্রেশন করে বন্ধ করে রেখেছি। গত ছয়মাসে সেগুলোর কী অবস্থা হয়েছে, আমরা কিন্তু ফলোআপ করতে পারিনি। এখনকার কন্ডিশন জানার জন্য ওনার ফলোআপ করাটা আরও রিস্কি হয়ে যাচ্ছে।
ডা. এফ এম সিদ্দিকী আরও জানান, এখনো খালেদা জিয়ার ফ্লাই (বিমানে ভ্রমণ) করার মতো শারীরিক সক্ষমতা আছে। বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করলে হয়তো তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন’ বলেও জানান।
এভার কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘তিনি পুরোপুরি সুস্থ না। তিনি অসুস্থ। দুইটা ব্লক এখনও রয়ে গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী, এভার কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. এজেড জাহিদ হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলো এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলনে করবেন আগামীকাল (শুক্রবার)। বিকেল ৩টায় এ সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: শনাক্ত বেড়ে ১৬৮৫
উল্লেখ্য, ১০ জুন গভীর রাতে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। পরে এনজিওগ্রাম করে তার হৃদযন্ত্রে একটি রিং পরানো হয়। যদিও তার হৃৎপিণ্ডে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ার কথাও জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
হার্টে রিং পরানোর পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে তার ওষুধেও কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু তার পুরাতন রোগগুলো এখনও ওঠা-নামার মধ্যে আছে। সেগুলো একটা স্থিতিশীল অবস্থায় না আসা পর্যন্ত তার বাসায় ফেরা অনিশ্চিত।