বন্যায় পানিবন্দি পৌনে ৬ লাখ শিক্ষার্থী

বন্যা
শিক্ষার্থী  © সংগৃৃহীত

বন্যার কবলে দেশের পৌনে ৬ লাখ শিক্ষার্থী। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)  প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দেশের ১৮টি জেলার ৮৫টি উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ১ হাজার ১২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষার্থী বন্যার কবলে পড়েছে। ৮৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও পাঠদানই সম্ভব নয়। এছাড়াও ৬৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে এ তথ্য জানা যায়।

মাউশির প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দেশের ১৮টি জেলার ৮৫টি উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ১ হাজার ১২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষার্থী বন্যার কবলে পড়েছে। তবে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার কবলে পড়েনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর ১২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে। আংশিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে ১০৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর ৮৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও পাঠদান সম্ভব নয়। বন্যাকবলিত এলাকার ৬৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে।

এর আগে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বন্যাদুর্গত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে । সব আঞ্চলিক পরিচালক, উপপরিচালককে বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) মাউশির উপপরিচালক (মানিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশান) সেলিনা জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ঈদের পর এসএসসি পরীক্ষা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বর্ষায় অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে পানি আসায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় বন্যায় যেসব জেলা/উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ তথ্যগুলো ছক অনুযায়ী মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশান উইংয়ের মেইলে (ফরৎবপঃরড়হ.সব@িমসধরষ.পড়স) সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আওতাধীন উজলো ও জেলার সব তথ্য একত্রি করে কলেজ পর্যায়ের তথ্য আঞ্চলিক পরিচালক এবং স্কুল পর্যায়ের তথ্য আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, মাধ্যমিকের ই-মেইলে পাঠাতে নির্দেশ্রকম অনুরোধ করা হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/উপজেলা বা জেলা থেকে তথ্য পাঠানো হলে গ্রহণযোগ্য হবে না। যেসব তথ্য দিতে বলা হয়েছে, তা হলো— বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মোট সংখ্যা ও নাম, আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মোট সংখ্যা ও নাম)। এছাড়া পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব, আংশিক সম্ভব, সম্ভব নয়, বন্যাকবলিত এলাকার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

আরও পড়ুন: সময় বাড়লো এইচএসসির ফরম পূরণের

এদিকে সার্বিক বন্যার কারণে ঈদের আগে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। ঈদের পর পরীক্ষা নিতে হবে। আর এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আসন্ন ঈদুল আজহার পর নতুন রুটিনে পরীক্ষা শুরু করা হবে। এদিকে এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাবে।