ইভিএমে আস্থা কেবল আওয়ামী লীগসহ ৪ দলের

নির্বাচন
ইভিএম  © ফাইল ফটো

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে লক্ষ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছে কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। যদিও ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) ১১টি দল। বিএনপি বলছে নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেই। 

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের ডাকে সাড়া দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। দলটি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম চায় বলে ইসিকে জানিয়েছে। আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে এ মতে সুর মিলিয়েছে কেবল তিনটি দল। তারাও আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের  জোটভুক্ত ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল ও গণতন্ত্রী পার্টি। সব মিলিয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে কেবল চারটি দল চায় নির্বাচন হোক ইভিএমে। বাকীরা সবাই ইভিএমের বিরোধী। কেউ কেউ আস্থার সংকটের কথা জানায়। 

গতকাল ইসির সঙ্গে সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৩০০ আসনেই ইভিএম চাই। মন থেকে চাই। চেতনা থেকে চাই। যদিও সংসদের ৩০০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করতে ইসি কতটা সক্ষম—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তাদের (ইসি) এখতিয়ার।

এর আগে সভার ভেতরে দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইসির এখন দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে ৩১ শতাংশ কেন্দ্রে ভোট করা সম্ভব। আগামী নির্বাচনে ইভিএমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করার জন্য ইসির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, ইভিএমসহ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার কারণে সব কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বেড়েছে। ইভিএমের কারণে জালিয়াতি ও ভোট চুরি বন্ধ হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতি জনগণের কাছে জনপ্রিয় ও সবার ব্যবহারযোগ্য করার লক্ষ্যে ইসিকে এখন থেকেই প্রচার–প্রচারণার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতেও আহ্বান জানান তিনি।

গতকালের সভায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি অংশ নিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশন, গণফোরাম, বিকল্পধারা, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ ও মুক্তিজোট। এর মধ্যে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া সভায় বলেন, আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের সঙ্গে তাঁরা একাত্মতা প্রকাশ করে ইভিএমের প্রতি সমর্থন জানান।

ইভিএম পদ্ধতিতে কোনো আপত্তি নেই বলে উল্লেখ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তবে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে সব কটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু ইভিএম বিষয়ে যেসব প্রশ্ন আছে, তা নিয়ে পৃথকভাবে আলোচনা হওয়া দরকার।