ঈদুল আজহা

গরুর হাটে বসবে ‘ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ’

ঈদুল আজহা
পশুর হাট  © সংগৃৃহীত

ঈদে পশুর হাটে নগদ অর্থের লেনদেন ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি জাল নোট, ছিনতাই ও বিভিন্ন প্রতারণামূলক কর্মকান্ডরোধ করতে  একটি পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে সরকার। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটে ‘ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ পাইলট প্রকল্পে ডিএনসিসির আওতাধীন রাজধানীর পৃথক ছয়টি এলাকায়  এই বুথ বসানো হবে।

বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট, ডিজিটাল পশুর হাট’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব তথ্য জানান। প্রকল্পটি পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) যৌথভাবে কাজ করছে। সার্বিক সহায়তা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,  আগামী ১ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ চালু থাকবে। ওই হাটগুলোতে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে কার্ড স্কিম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড, ভিসা ও আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য লিড ব্যাংক হিসেবে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক (ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড) এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস সংস্থা হিসেবে বিকাশ লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক এম-ক্যাশ একযোগে কাজ করবে।

আরও পড়ুন: ঈদের চাঁদ দেখতে বৈঠক বৃহস্পতিবার

এছাড়া ওই প্রকল্পের আওতাধীন প্রতিটি হাটে একটি করে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হবে, যেখানে ক্রেতারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস (চঙঝ) এ, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে অথবা বুথে স্থাপিত এটিএম মেশিন থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করেও বিক্রেতাকে পশুর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।

 প্রান্তিক খামারি এবং সংশ্লিষ্ট ইজারাদারদের স্বার্থে ডিজিটাল লেনদেনে কোনো প্রকার খরচ (কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমডিআর এবং আইআরএফ চার্জ এবং এমএফএস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট চার্জ) প্রযোজ্য হবে না। একইসঙ্গে ইজারাদারদের কাছে পশুর হাসিল নগদ অর্থ ছাড়াও ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস (পিওএস) মেশিনে অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: বিপৎসীমার উপরে ধরলা ও তিস্তার পানি

বক্তারা আরও বলেন, এ পাইলট প্রকল্প একদিকে ক্রেতার নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি, নকল বা ছেঁড়া বা ফাটা নোট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে এ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কোরবানির পশু বিক্রেতা প্রান্তিক খামারি বা ব্যবসায়ীরা নগদ অর্থ বহন সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্ত হবেন। ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ভবিষ্যতে অর্থায়ন, ডিপোজিট সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন, যা সার্বিকভাবে দেশজ অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অংশ নেন।