পদ্মা সেতুর নাট খোলা মাহদি ছাত্রশিবিরের সদস্য ছিল
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২২, ০৪:৪০ PM , আপডেট: ৩০ জুন ২০২২, ০৪:৪০ PM

রেঞ্জ দিয়ে পদ্মা সেতুর নাট খুলে ঢিল করে পরে হাত দিয়ে খোলা মাহদি এক সময় ছাত্রশিবিরের সদস্য ছিল। তিনি তামিরুল মিল্লাত নামে একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করেন। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে বুধবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে মাহদিকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। এসময় তার কাছ থেকে নাট খোলার ভিডিও ধারণে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়।
সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার মাহদি তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার ছাত্র। সেখানে ছাত্র অবস্থায় সে শিবিরের কর্মী ছিল। সেই মাদ্রাসা থেকে দাখিল আলিম পাসের পর কবি নজরুল কলেজে ভর্তি হয়। তবে তার রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি। তবে পড়াশোনা না করলেও সে গ্রামের বাড়িতে থাকত না, ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে থাকত।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরের দিন যখন সবার জন্য সেতু উন্মুক্ত করা হয় সে দিন মাহদি রেঞ্জ নিয়ে সেখানে যায়। সে রেঞ্জ দিয়ে সেতুর নাট-বল্টু খোলে। সে নাট-বল্টু খোলার পরিকল্পনা করেই সেতুতে যায়।
সিটিটিসির এই কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতুর এই সাফল্যকে ছোট করা এবং জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি মহল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২৬ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাহদি হাসান পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে আবার লাগিয়ে দিচ্ছে।
সিটিটিসির সাইবার ইন্টেলিজেন্স বিভাগের নজরদারির ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ এলাকা থেকে মাহদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু উত্তর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, মাহদি ভিডিওতে বলছিলেন, ‘আমি কিন্তু রেঞ্জ ব্যবহার করছি না’। সে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আপত্তিকর রেঞ্জ শব্দটি ব্যবহার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহদি স্বীকার করেছে, রেঞ্জ দিয়ে প্রথমে নাট খুলে লুজ করে, পরে হাত দিয়ে খুলে ভিডিও বানানো হয়।