ট্রেনে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়, ঈদযাত্রায় ভোগান্তি

ট্রেন
  © সংগৃহীত

‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ প্রতি রাতে ১০টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে গেলেও গত শুক্রবার ওই ট্রেন ঢাকাতেই ফেরেনি। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। শত শত যাত্রী না ঘুমিয়ে বসে রাত কাটিয়েছেন কমলাপুর স্টেশনে। এখনও ওই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে যাত্রীরা।

একই অবস্থা দ্রুতযান এক্সপ্রেসেরও। এই ট্রেন রাত ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আজ সকাল ৬টায় ছেড়ে গেছে। আর ভোরে দ্রুতযান এক্সপ্রেস স্টেশনে এলেও মানুষের চাপের কারণে উঠতে পারেননি অনেক যাত্রী

এদিকে কোরবানির ঈদের আগের দিন সময় যত গড়াচ্ছে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো ঈদযাত্রীদের চাপ তত বাড়ছে। ট্রেনে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে সব ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের দেড়-দুই ঘণ্টা বা তার বেশি দেরিতে ছেড়েছে ট্রেন। 

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস আসছে বলে ঘোষণা চলছে আর ধূমকেতু এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে উত্তরবঙ্গের এসব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।

প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখা যায়, যে যেভাবে পারছেন ট্রেনে উঠছেন। অনেকে জানালা দিয়েও ওঠার চেষ্টা করছেন। প্ল্যাটফর্মে হাজারো মানুষের জটলা। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাইও নেই।

যাত্রীদের অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বাসে দীর্ঘ যানজট, চার ঘণ্টার পথ যেতে লাগছে ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি। খরচও বেশি। তাই বাধ্য হয়েই তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি। কিন্তু বাড়ি যেতেই হবে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নারী, শিশু ও বয়স্কদের।

এদিন সিলেট ও চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেন ও জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে যাত্রী ভ্রমণের চিত্র চোখে পড়েনি। এদিকে ময়মনসিংহগামী ‘বলাকা’ পৌনে ৫টায় এবং ‘জামালপুর কমিউটার’ পৌনে ৬টায় ছেড়ে গেছে। এছাড়াও চট্টগ্রামগামী ‘সোনার বাংলা’ ৭টায়, ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ‘তিস্তা এক্সপ্রেস’ সাড়ে ৭টায় এবং কিশোরগঞ্জের ‘এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস’ পৌনে ৮টার ট্রেন ৫ মিনিট পর ৭টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে গেছে।