জনশুমারির সফটওয়্যার কেনার প্রক্রিয়া জানতে চায় সংসদীয় কমিটি
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২২, ১০:০৩ PM , আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২২, ১১:৩৩ AM

সদ্য সম্পন্ন হওয়া জনশুমারি ও গৃহগণনা কর্মসূচিতে ব্যবহূত ২০ লাখ আমেরিকান ডলারের সফটওয়্যারের ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, সাবের হোসেন চৌধুরী, হাফিজ আহমদ মজুমদার, বীরেন শিকদার এবং মাশরাফি বিন মুর্তজা অংশ নেন।
কমিটির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, এই সফটওয়্যার কোন প্রক্রিয়ায় কেনা হয়েছে, দেশি প্রতিষ্ঠান আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগ্যতা যাচাই করা হয়েছে কিনা-এসব বিষয় বিশদে বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এবার গণনাকারীর হাতে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) যুক্ত ট্যাব সরবরাহ করা হয়। ট্যাবে এমন সফটওয়্যার যুক্ত করা হয়েছে যাতে সকল তথ্য পূরণ না করে কিংবা কোনো খানা থেকে তথ্য না নিয়ে সংশ্লিষ্ট গণনাকারী ‘কাজ শেষ’ বলে ট্যাব জমা দিতে পারবেন না। দেশে এবারই প্রথম জনশুমারি ডিজিটালি করা হয়েছে।
এদিকে সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইসিটি টেকনোলজি-সংক্রান্ত কোন দেশীয় প্রযুক্তির সফটওয়্যার নেই বিধায় পরিসংখ্যান ব্যুরো বিদেশি সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করে। আইসিটি-সংক্রান্ত কাজের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে কোয়ালিটি অ্যান্ড কস্টবেইজ সিলেকশন পদ্ধতিতে ফার্ম সিলেকশন করা হয়েছে। এ সফটওয়্যার কিনতে খরচ হয়েছে ২০ লাখ মার্কিন ডলার।
এদিকে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালগুলোর প্রকল্প গ্রহণ/বাজেটের পরিমাণ নির্ধারণে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন ধরনের হালনাগাদ তথ্য প্রদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনাপত্তি সনদ (এনওসি), কার্য বিধিমালা (রুলস অব বিজনেস) ও এলোকেশন অব বিজনেস সঠিকভাবে মানা হয়েছে কিনা তা যাচাই করে অনুমোদন দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, যখন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তখন হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে তা করা হয় না। আগের তথ্য মাথায় রেখে করা হয়। কমিটি বলেছে, হালনাগাদ তথ্য না থাকলে প্রকল্পের ফল আশানুরূপ আসবে না। সঠিক তথ্য না থাকলে তো কাজটাই ঠিকঠাক হবে না। এজন্য কমিটি বলেছে, যে কোনো পরিকল্পনা নেওয়ার আগে যাতে হালনাগাদ তথ্য জোগাড় করা হয়।
তিনি জানান, উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের সময় জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকির বিষয়টি আমলে রেখে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। তারা দেখতে চায় উন্নয়ন বাজেটে জলবায়ুর বিষয়টি কতটা আমলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রজেক্টের ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট করার জন্য বলা হয়েছে।