টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ছদ্মবেশে ডাকাতি, পরে ধর্ষণ

সারাদেশ
ডাকাতি ও ধর্ষণ শেষে ফেলে রেখে যাওয়া ঈগল পরিবহন  © সংগৃহীত

কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল বাসটি কয়েক ঘণ্টা তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে ভেতরে যাত্রীদের মারধর ও লুটপাট চালায়। এ সময় এক নারী যাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে বাসটিকে রাস্তার পাশে কাত করে ফেলে ডাকাতেরা পালিয়ে যান। বাসে তিন ঘণ্টা ধরে তারা এই নির্মমতা চালায় বলে জানা গেছে।

যাত্রীদের সূত্র ধরে মধুপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানিয়েছেন, ঈগল পরিবহনের বাসটি ২৪-২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত দেড়টার দিকে সিরাজগঞ্জে খাবারের বিরতি দেয়। এরপর, রাস্তা থেকে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্রায় ১০-১২ জন তরুণ যাত্রী বাসে ওঠেন। যাত্রী ছদ্মবেশে বাসে ওঠা তরুণেরা অস্ত্রের মুখে সব যাত্রীকে জিম্মি করে ফেলে যমুনা সেতু পার হওয়ার পর। এরপর সবাইকে একে একে বেঁধে ফেলেন। 

যাত্রী ছদ্মবেশী ডাকাতেরা সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। এরপেক যাত্রীকে ধর্ষণ করেন। প্রায় ৩ ঘন্টা বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে বাসটিকে দখলে রাখেন। এরপর কুষ্টিয়া-ঢাকার বাসটিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিং রোডের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া গ্রামে এক মসজিদের কাছে রাস্তার পাশে কাত করে রেখে পালিয়ে যান। 

ধর্ষণ এবং ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টায় বাসের সুপারভাইজার রাব্বী তাঁকে জানান, বাসটি সিরাজগঞ্জ পার হচ্ছে। এরপর রাত ৩টা ৯ মিনিটে অপরিচিত একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে রাব্বী জানান, বাসটি ডাকাতের কবলে পড়েছে। কয়েকটি জায়গা থেকে যাত্রীর ছদ্মবেশে ডাকাতেরা বাসে উঠেছিলেন।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পরে বাসটিতে নিয়ন্ত্রণ নেয় ডাকাত দল। এ ঘটনায় বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল এর মধুপুর থানায় মামলা করেছেন এক যাত্রী। ধর্ষণের শিকার নারীকে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দোষীদের খুঁজে বের করতেও পুলিশ তৎপর আছে বলে জানান তিনি।