শেখ কামালের জীবন হোক তারুণ্যের পথের দিশা: প্রধানমন্ত্রী
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৪:৪৫ PM , আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৪:৪৫ PM

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল যে নীতি,আদর্শ ও চলার পথের দিক দিশা দিয়ে গেছেন, শিশু থেকে যুব সমাজ তা অনুসরণ করে নিজেদের গড়ে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে শুক্রবার (অগাস্ট) সকালে ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এই প্রত্যাশার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল আমাদের জন্য যে নীতি, আদর্শ ও চলার পথের দিক নির্দেশনা রেখে গেছেন, নিঃসন্দেহে আমি মনে করি যে আমাদের ছোট শিশু থেকে যুব সমাজ, তারা তাদের চলার পথ কামালের এই আদর্শকে সামনে রেখে অনুসরণ করে নিজেদেরকে গড়ে তুলবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে তার ছোট ভাই শেখ কামালের ‘বহুমুখী প্রতিভা, সাদাসিধে জীবনযাপন এবং নিরহংকারী চরিত্রের কথা’ তুলে ধরেন। “আজকে কামালের জন্মদিন।…একাধারে সে হকি খেলত, ফুটবল খেলত, ক্রিকেট খেলত। আবার সেতার বাজাত। ভালো গান গাইতে পারত। নাটকে অংশ গ্রহণ করত। তার অনেক নাটক করা আছে। উপস্থিত বক্তৃতায় সে সব সময় পুরস্কার পেত।
পাশপাশি কামাল রাজনৈতিকভাবেও সচেতন ছিলেন জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শাহিন স্কুল থেকে পাস করে যখন ঢাকা কলেজে পড়ত, তখন থেকে সে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। আমরা সংগঠন করতাম, কখনো কোন পদ নিয়ে আমাদের চিন্তা ছিল না।
তিনি বলেন, আমার বাবা শিখিয়েছে মানুষের জন্য রাজনীতি করা। তার আদর্শ নিয়ে আমরা পথ চলতাম। তিনিই আমদের শিখিয়েছিলেন সাদাসিধে জীবন যাপন করতে হবে।… সিম্পল লিভিং হাই থিংকিং। এটাই ছিল আমাদের মোটো। এটাই আমাদের শিখিয়েছিলেন এবং আমরা সেটাই করতাম।
ভাইয়ের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পোশাক পরিচ্ছদ, জীবনযাত্রা খুবই সীমিত ছিল। এমনকি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে তার কোনো অহংকার ছিল না।
১৯৪৯ সালের ৫ অগাস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণকরেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল। ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদেরও সদস্য ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় সে সময় প্রাণে বেঁচে যান। ঘাতকের গুলিতে নিহত হওয়ার সময় শেখ কামালের বয়স ছিল ২৬ বছর।