জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়
মন্ত্রীপরিষদ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম একলাফে ৫১ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে। কেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো প্রয়োজন ছিল সেটা যাতে মানুষকে পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়—এ জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। 

গণভবন থেকে এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সভার সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আজকের বৈঠকে জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশে শক্তিশালী একটি শিল্প খাত গড়ে উঠবে।

বৈঠকে ওষুধ আইন-২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, এর ফলে লাইসেন্স ছাড়া কেউ ওষুধ আমদানি করতে পারবে না। যদি কেউ এটা করে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। সরকারি ওষুধ চুরি করে বিক্রি করলে একই রকম শাস্তি হবে। তবে ওষুধের দাম ও মান নিয়ে আইনে কিছু বলা হয়নি। নীতিমালা করে এগুলো নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে। তেলের দাম এক লাফে বড় অঙ্কের বৃদ্ধির প্রভাবে পরিবহন ভাড়া বাড়াতে হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ মানুষের জীবন যাত্রার সবক্ষেত্রেই খরচ বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতি ক্ষুব্ধ করেছে সাধারণ মানুষকে।

কিন্তু সরকারের পক্ষে যুক্তি হচ্ছে, যদি ধাপে ধাপে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হতো, তাহলে প্রতিবার খাদ্যদ্রব্যসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হতো এবং পরিস্থিতি সহনীয় মাত্রায় রাখা সম্ভব হতো না। সরকারের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে শিল্পপতি বা ব্যবসায়ীদের অনেকের। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববাজারের জ্বালানি তেলের দাম আরো কিছুটা কমলে দেশে আবারো দাম কমানো হবে।