চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ৬ মরদেহ উদ্ধার

চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ৬ মরদেহ উদ্ধার
চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ৬ মরদেহ উদ্ধার  © সংগৃৃহীত

রাজধানীর চকবাজারে পলিথিন কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার পর উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। এসময় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

সোমবার দুপুরে চকবাজারের দেবিদ্বারঘাট এলাকার ওই কারখানায় আগুন লাগে, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট তৎপরতা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর সেখান থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে আমার আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন তল্লাশি কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ছয়টি মরদেহ দেখতে পেয়েছি। উদ্ধারকাজ শেষে আমরা নিশ্চিত করতে পারব কতজন মারা গেছেন।

মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আনোয়ার। তিনি বলেন, আমরা দোতলায় ৬ জনের মরদেহ পেয়েছি। আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।

নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. শরিফ (১৫), মো. বিল্লাল (৩৫), মো. স্বপন (২২), মো. ওসমান (২৫)। অপর দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে, ফায়ার সার্ভসের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেই বরিশাল হোটেলের পাঁচ কর্মী ভেতরে ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে কজন বের হতে পেরেছেন তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

নিখোঁজ ওসামানের খালাতো ভাই মো. রুবেল বলেছিলেন, যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটির নিচ তলায় বরিশাল হোটেলে কাজ করত ওসমান। রাতে কাজ করে ওই ভবনের দুই তালায় ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু আগুন লাগার পরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিকবার তার ফোনে কল করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেছিলেন, আগুন লাগা ভবনটির দোতলায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা মানুষের হাড়ের মতো কিছু জিনিস দেখতে পেয়েছি।

মো. আব্দুল্লাহ নামের আরেকজন বলেছিলেন, মো. বিল্লাল (৩৩) নামে তার দুলাভাইও নিখোঁজ। তিনিও বরিশাল হোটেলে কাজ করতেন। গত রাতে নাইট ডিউটি শেষে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। আগুন লাগার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে লাগা আগুন প্রায় ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।

হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে দাবি করেছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তারা বলছেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন শুরুতে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারে যায়। সেখানে আরেক দফা বিস্ফোরণের পর প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানায় আগুন লাগে।