জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় চোরাচালান বন্ধ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
  © সংগৃহীত

প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় পাচার হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় চোরাচালান বন্ধ হয়েছে, এতে দেশের সাশ্রয় হয়েছে। এখন প্রতি লিটারে জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা করে কমানো হয়েছে।’

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তেল বেশি দামে কিনি, এখানে ভর্তুকি দিয়ে কম দামে দেই। কিন্তু সেই তেল প্রতিবেশী দেশে চলে যায়। যার জন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা আছে মানুষের কষ্টটা দূর করার। আমরা অনেক হিসাব-নিকাশ করে দেখলাম যে চোরাচালানটা বন্ধ হয়ে গেছে, আমরা কিছুটা সাশ্রয় করতে পারছি। আমরা তেলের দাম ইতোমধ্যে ৫ টাকা করে কমিয়ে দিয়েছি। কারণ, আমাদের লক্ষ্য সবসময় মানুষের দিকে তাকানো।’

খাদ্যপণ্যের দাম বিশ্বব্যাপী বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেখান থেকে গম বা সার কিনি সেখানে এমন একটা অবস্থা...। যদিও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, কিনতে পারবো। তারপরও দেশের মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সে জন্য করোনার সময় বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছিলাম।’

গ্যাস উৎপাদন সরকার বাড়াচ্ছে বলে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘গ্যাস কিন্তু একটা কূপে চিরস্থায়ী না। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর জন্য বিদ্যুৎ কিছুটা সাশ্রয় করে যাচ্ছি।’

রুটিন করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যেন কষ্ট না পায়, যে হঠাৎ করে (বিদ্যুৎ চলে) যাবে; সেটা করা হচ্ছে সাশ্রয় করার জন্য। আমরা যদি এখন থেকে সাশ্রয়ী না হই, তাহলে আগামী দিনে যে বিশ্বমন্দা হবে, তাতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হব। সেদিকে লক্ষ রেখে পদক্ষেপ নিয়েছি।