টিপকান্ডে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্য বউ সন্তান নিয়ে রাস্তায়

জাতীয়
টিপকান্ডে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্য স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রাস্তায়  © সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে টিপকাণ্ডে চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেক চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। স্ত্রী ও দেড় মাস বয়সী শিশুসন্তানকে নিয়েই তিনি মিথ্যা অভিযোগ আনার অপরাধে এই মামলার বাদী লতা সমাদ্দারের বিচারের দাবি জানান। তিনি জানান, এ ঘটনা নিয়ে সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ যদি থাকে সেটিও প্রচার করতে হবে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) স্ত্রী ও দেড় মাসের শিশুসন্তান নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যানার লিখে এসব দাবি জানান নাজমুল তারেক। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা তার সঙ্গে আলাপ করতে গেলে তিনি এসব দাবি জানান।

ঘটনার প্রমাণ নিয়ে নাজমুল বলেন, তদন্ত কমিটি প্রথম রিপোর্ট দেয় যে, টিপ বিষয়ে কটূক্তির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরে যখন বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে, তখন অ্যাডিশনাল এসপি রহিমা আক্তার লাকী স্যার লিখেছেন, মোটরসাইকেল যাওয়ার সময় পথে লতা সমাদ্দারের সঙ্গে অরুচি শব্দ ব্যবহার করলে বাগবিতণ্ডার ঘটনার ভিডিওটি মিডিয়ায় প্রচার হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়।

অথচ ঘটনাস্থলে আমি যে বাইকে যাচ্ছি, সেটি দেখা গেছে। তাতে তো প্রমাণ হয় না যে, আমি অপরাধী। কারণ, আইনে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে অপরাধী বলতে হবে। আমার সিসি ক্যামেরায় কথা না আসুক। কিন্তু ওই সময়ে আমাদের কথা বলার বডি স্ট্রাকচারেও বোঝা যায় যে, আমি বাগবিতণ্ডা করছি কি না। এমন কোনো ফুটেজ আমিও দেখিনি।

গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি পেয়ে থাকেন এমন ভিডিও, তাহলে প্রকাশ করেন। সেটা মিডিয়ার মাধ্যমে সত্যতা প্রচার হোক। অপরাধী হয়ে আমার চাকরি গেলেও আমার দুঃখ নেই। নাজমুল তারেকের স্ত্রী বলেন, মিথ্যা অপবাদে আমার স্বামীর চাকরি খেয়ে দিলো। এটা কি প্রধানমন্ত্রী দেখছেন না। আমি দেড় মাসের বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় নেমে গেছি। পুরো পরিবারটা আমাকে চালাতে হয়।

তিনি বলেন, এখন আমার স্বামী কী করে খাবেন, সংসার কীভাবে চালাবেন। আমার একটাই দাবি, সত্য প্রকাশ হোক। যদি আমার স্বামী অপরাধী হয়, তবে তার বিচার হোক মেনে নেবো। সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।