বাংলাদেশে যে গ্রাম ঘুরতে এসেছিলেন রানি এলিজাবেথ

জাতীয়
বাংলাদেশে এসেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ  © ফাইল ফটো

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে এসেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তিনি বাংলাদেশে এসে একটি গ্রামের নারীদের দেখতে গিয়েছিলেন।

চার দিনের সরকারি সফরের এক দিনে তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রাম দেখতে গিয়েছিলেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে শ্রীপুর, সেখান থেকে গাড়িতে করে বৈরাগীরচালায় যান রানি।

রানির এ সফর এখনও গ্রামটির মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। রানির আগমন উপলক্ষে ওই গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছিল, যা পরে এলাকায় কলকারখানা গড়ে উঠতে সাহায্য করে।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে এসেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

১৯৬১ সালেও ঢাকায় এসেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তখন ঢাকা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী। তিনি সেবার সুগন্ধা স্টেট গেস্ট হাউজে থেকেছিলেন। তার আসা উপলক্ষে ব্রিটিশ আমলের ভবনটি নতুন করে সাজানো-গোছানো হয়েছিল। সেবার রানি নারায়ণগঞ্জে আদমজী জুট মিল পরিদর্শন করেছিলেন। 

ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসন অলংকৃত করে রেখেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মাস কয়েক আগেই তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উদযাপন করা হয়েছিল। ১৯৫২ সালে ব্রিটিশ সিংহাসনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক ঘটে। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর রানির মৃত্যুর ঘোষণা দেয় বাকিংহাম প্যালেস। 

এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস বলেছে, রানি বিকেলে (স্থানীয় সময়) বালমোরাল ক্যাসলে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন। রাজা এবং রাজপত্নী আজ রাতে ব্যালমোরালে থাকবেন ও আগামীকাল লন্ডনে ফিরে আসবেন।

তার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে, প্রাক্তন প্রিন্স অব ওয়েলস, চার্লস এখন নতুন রাজা হবেন এবং ১৪টি কমনওয়েলথ রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে দেশের শোক-পালনে নেতৃত্ব দেবেন।

সকালে অসুস্থ বোধ করার পর থেকেই চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয় এলিজাবেথকে। বালমোরাল প্রাসাদে রানির চিকিৎসক ও কর্মচারীরা সর্বক্ষণ তার খেয়াল রাখছিলেন। 

রানির মৃত্যুর অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকেলে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে শান্তিপূর্ণভাবে মারা যান রানি এলিজাবেথ।

৭০ বছর ব্রিটেনের সিংহাসনে ছিলেন তিনি। দীর্ঘ এই বর্ণিল জীবনে ব্রিটেনের সমাজ ও রাজনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তনের সাক্ষী তিনি। তার মৃত্যুতে রাজ পরিবারে দীর্ঘ এক শাসনের সমাপ্তি ঘটলো।