ছাত্রীর শরীরে গরম চা ঢেলে দিলেন ছাত্রলীগ নেত্রী!
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৩০ PM , আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৩০ PM

হলের পাঠকক্ষে প্রবেশের জায়গা চাওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা। এর জেরে শিক্ষার্থীর শরীরে গরম চা ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ ইডেন কলেজ ছাত্রলীগে নেত্রীর বিরুদ্ধে। এ সময় তাঁর হাত মচকে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় হল সুপার নাজমুন নাহার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত আয়েশা ইসলাম মীম কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার অনুসারী বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ২০১৬-১৭ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কলেজের শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী নিবাসের ৩১৩ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ৯টার দিকে হলের পাঠকক্ষে প্রবেশের জায়গা দখল করে মীমের অনুসারী এক শিক্ষার্থী টেবিল বসিয়ে পড়ছিলেন। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাকে সরে বসতে বলেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মীমের অনুসারী ভুক্তভোগীকে বলেন, ‘আমি দেখে নেব কীভাবে তুমি এই কলেজে পড়। ’
সন্ধ্যার দিকে আয়েশা ইসলাম মীম ১০ থেকে ১২ কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কক্ষে প্রবেশ করে গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে মগে থাকা গরম চা তার পায়ে ঢেলে দেন এবং হাত মচকে দেন। পরে কক্ষের সবাইকে বের হয়ে যেতে বলেন মীম। এ সময় তিনি বলেন, ‘তোর এমন অবস্থা করব যে তুই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবি। ’ তবে ভুক্তভোগীর রুমমেটরা বের হতে অস্বীকৃতি জানালে আরো কিছুক্ষণ মানসিক নির্যাতন করে কক্ষ থেকে দলবলসহ বের হয়ে যান মীম।
অভিযোগের বিষয়ে আয়েশা ইসলাম মীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ রকম কিছুই ঘটেনি। কেউ আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। ’
অভিযোগপত্র পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে হল সুপার নাজমুন নাহার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের মিটিং আছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। ’
ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা জেনেছি। হোস্টেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছেন। ’
এর আগে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ রিভার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হল রুম থেকে বের করে দেওয়ার হুমকির অডিও ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে শোনা যায়, ‘বেশি চ্যাটাং চ্যাটাং করতেছিস। এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁড়া ফেলমু। চার মাস হয়ে গেছে ফাইজলামি শুরু করছিস। তোরা লিগ্যাল তাতে আমার...। ’ পরে এ বিষয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা চান রিভা।
ওই অডিও ফাঁসের পর দুই ছাত্রীকে ৭ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন এবং নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করার হুমকির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।