মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ফটো

মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বাংলাদেশ থেকে এখনো রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করার জন্য জাতিসংঘকে কার্যকর ও জোরাল ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। 

সদ্য সমাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন চলছে। এতে লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর ৫টি প্রস্তাব: 

প্রস্তাবগুলো হলো-

১. রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনৈতিক সমর্থন ও মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা।

২. আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, জাতীয় আদালত এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান মামলায় সমর্থন প্রদান।

৩. জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।

৪. আসিয়ানের পাঁচ-দফা ঐক্যমতে মিয়ানমারের অঙ্গীকারসমূহ এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করা।

৫. মিয়ানমারে জাতিসংঘসহ মানবিক সহায়তাকারীদের নির্বিঘ্নে প্রবেশ নিশ্চিত করা।

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী গত ৩ অক্টোবর (সোমবার) রাতে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে দেশে ফেরেন। এর আগে যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডন যান। সেখানে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও রাজা চার্লস তৃতীয় কর্তৃক আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।