গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে ইসির কমিটি

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে ইসির কমিটি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে ইসির কমিটি  © ফাইল ফটো

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গতকাল বৃহস্পতিবার এ কমিটি গঠন করেন। বিষয়টি আজ শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে। সদস্য দুজন হলেন—যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস ও শাহেদুন্নবী চৌধুরী। 

এ বিষয়ে আজ বিকেলে গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠনের চিঠি পেয়েছি। তবে কমিটি কী কী করতে চায়, সেই কার্যপরিধির চিঠি পাইনি, হয়তো কাল (শনিবার) পাব।’

গত বুধবার সকাল আটটায় গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোটের দিন দুপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোট পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এরপর গোপন বুথে ঢুকে ভোট নেওয়াসহ নানা অনিয়ম সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে নির্বাচন কমিশন একে একে ৫১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে। এরপর বেলা দুইটার দিকে উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

স্থগিত করা কেন্দ্র বাদে বাকি কেন্দ্রগুলোর ফলাফল ঘোষণার দাবিতে ভোটের দিন বিকেল থেকে আন্দোলন করে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। এ উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলটির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাহমুদ হাসান। অন্য চার প্রার্থী হলেন—জাতীয় পার্টির (জাপা) এ এইচ এম গোলাম শহীদ, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান এবং সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। চারজনই ভোট বর্জন করেছেন।

এ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।