জনগণের কষ্ট হচ্ছে স্বীকার করলেন মন্ত্রী, গ্যাস সংকটে চিনি উৎপাদন কম

জাতীয়
সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুনশি  © সংগৃহীত

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় চিনির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানান। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা স্বীকার করেন।

যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, গত এক মাসে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় একই শিরোনাম হয়েছে যে, সংসার আর চলছে না। মানে খরচ এত বেড়েছে যে সংসার আর চলছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনি কী মনে করেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি কথা যে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ কষ্টের পেছনে কিন্তু আমাদের চেয়ে বৈশ্বিক কারণ বেশি। কিন্তু বৈশ্বিক কারণ-তো আমরা রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারব না।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবনে কখনো ভালো সময় থাকে, আবার কখনো খারাপ। প্রধানমন্ত্রীও যেটা বলেছেন- সামনে দুর্ভিক্ষ হতে পারে, খাদ্যের অভাব হতে পারে। সে চিন্তা করেই কিন্তু তিনি বারবার বলছেন। তিনি সবসময় অনেক অ্যাডভান্স চিন্তা করেন। যাতে আমাদের সমস্যা না হয়।’

আজকের সভা থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো সুখবর আছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের খবরটা দিচ্ছি যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি জানান, সয়াবিন তেলের বিষয়টি আমাদের ট্যারিফ কমিশন ঠিক করবে। খুব শিগগিরই আবার বসে স্টাডি করে তারা বিষয়টি নির্ধারণ করবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় চিনির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তবে চিনি নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব দেখছি না, এটা অ্যাভেইলেবল। 

তিনি বলেন, চিনি নিয়ে জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই। যে সমস্যা পেয়েছি সেটি হলো, গ্যাসের সাপ্লাই অপ্রতুলতার কারণে ৬৬ শতাংশের বেশি চিনি উৎপাদন করতে পারছে না। আশা করি, দু’একদিনের মধ্যে গ্যাসের সাপ্লাই স্বাভাবিক হলে যে পরিমাণ চিনি দরকার তা উৎপাদন সম্ভব হবে।

মন্ত্রী বলেন, চিনির সাপ্লাইটা ঠিকভাবে হওয়া দরকার। সরবরাহ ধীরগতি হলে সমস্যা, সরবরাহ স্বাভাবিক হলে যেই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সে দামে বিক্রি করা যাবে।

তিনি বলেন, অনেক চিনি গুদামে পড়ে আছে, সেটা প্রসেস করতে পারলে বাজারে আসবে। গ্যাসের সমস্যা সমাধান হলে এটি প্রসেস করা যাবে। যারা গ্যাসের বিষয়টি দেখে তারা বলছে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে। বিদ্যুতের অবস্থা ইমপ্রুভ করবে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।